কন্ডোম বিলি যেন ব্যাহত না হয়, নির্দেশিকা দিল্লির
করোনা-পরিস্থিতিতেও যেন কোনও মতে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমে কন্ডোম/কন্ট্রাসেপ্টিভ বিলি বন্ধ না হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিদান এমনই। করোনা মোকাবিলার পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে একটি গাইডলাইন জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাতেই বলা হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় অবশ্যই সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।
তবে স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্য কোনও দিক যাতে তিলমাত্র অবহেলিত না হয়, সে দিকেও সতর্ক নজর রাখতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই পরিবার পরিকল্পনার মতো জরুরি বিষয়টি যাতে নজরের বাইরে না যায়, তা মনে করানো হয়েছে।
দিল্লির নির্দেশ, কন্ডোম তো বটেই, মালা, ছায়ার মতো ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভ বা ইঞ্জেক্টেবল অন্তরার বিলিবণ্টন যেন যথাবিহিত চলে। আশাকর্মীদের তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। সাধারণ ভাবে প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ও সাব হেলথ সেন্টারগুলি জন্মনিরোধক নানা উপকরণ মানুষের হাতে তুলে দেয়। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর তৃণমূল স্তরে এই প্রতিষ্ঠানগুলি এই কাজ করে যাবে বলেই কেন্দ্রীয় গাইডলাইনে বলা হয়েছে।
তবে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যে রুটিন নানা কাজ সামলাতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সংশ্লিষ্ট মানব সম্পদের উপর প্রভূত চাপ পড়বে, তা-ও মেনে নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের গাইডলাইনে। সমস্যা নিরসনে সাময়িক ভিত্তিতে লোক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা স্বীকার করেছেন। মানবসম্পদের ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজনে তৃণমূল স্তর থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাময়িক ভাবে বা চুক্তির ভিত্তিতে লোক নেওয়ার কথাও তাই কেন্দ্রীয় গাইডলাইনে বলা হয়েছে।
সাধারণভাবে বেশ কিছু কর্মী স্বাস্থ্য পরিষেবায় চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ধার্য অনুপাতের বাইরে নিয়োগেও আপত্তি নেই দিল্লির। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত নার্স বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরও কাজে লাগানো যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তবে ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা শারীরিকভাবে সুস্থ কিনা, তা-ও দেখে নিতে হবে।