← স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান
করোনা আতঙ্কে হৃদরোগীরা সুস্থ থাকতে কি কি করবেন?
হৃদরোগ থাকলে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকদের দাবি তেমনটাই। তাহলেও অহেতুক ভয় পাবেন না। ভরসা রাখুন এমন কিছু নিয়মে যা হৃদরোগ থাকলেও সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
সংক্রমণের আশঙ্কা আপনার একটু বেশী হলেও এতটাও বেশী নয় যে যার জেরে ভয়ে জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে যায়। শুধু নিয়ম মানুন। একেবারে নিয়মমাফিক চলতে হবে এবং যোগাযোগ রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে।
বিপদ কাদের বেশী
- যাঁদের হার্টের পাম্প করার তুলনায় ক্ষমতা কম, তাঁদের শরীরে অক্সিজেন একটু কম যায়। কম থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
- যাঁদের পেসমেকার বসেছে বা হার্টের একমুখী দরজা বা ভাল্ভ পাল্টানো হয়েছে, তাঁদেরও সংক্রমণের আশঙ্কা বেশী থাকে।
- হৃদরোগের রিস্ক ফ্যাক্টর যেমন, বেশী ওজন, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপানের অভ্যাস ইত্যাদি থাকলেও সমস্যা আছে।
- একাধিক রিস্ক ফ্যাক্টরের সঙ্গে হৃদরোগ থাকলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে বলাই বাহুল্য।
- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরাজানিয়েছেন, ‘‘কোভিড-১৯-এর সংক্রমণে শ্বাসনালী ও ফুসফুসের উপরই চাপ বেশী পড়ে। অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে শ্বাসকষ্ট হয়। এতে হার্টের উপর চাপ আরও বাড়ে। অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম হয়ে বাড়ে জীবন সংশয়ের আশঙ্কা। সেপটিক শকেও চলে যেতে পারেন রোগী।”
কাজেই সাবধান হয়ে চলার কোনও বিকল্প নেই। কিভাবে ও কতটা সাবধানতা জরুরি?
- রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে সমস্ত ওষুধ খেতে হয়, তা খেয়ে যান নিয়মিত। এর মধ্যে কোনও ওষুধে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে কি না, বাড়লে কী করনীয় তা জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছে।
- বাড়িতে কারও জ্বর-সর্দি-কাশি হলে, তাঁর থেকে অনেকটা দূরে থাকুন।
- বাড়ির বাইরে না যাওয়ার নিয়ম মেনে চলুন অক্ষরে অক্ষরে।
- হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে সাধারন নিয়ম আছে তা মেনে চলুন।
- শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না। সম্ভব হলে ভোরে বা সন্ধের সময় ছাদে হাঁটুন।
- যোগব্যায়াম ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছে জেনে নিন কী করতে হবে না হবে।
- সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার খান, অল্প করে বারে বারে খান।
- অকারণে মাস্ক পরে বসে থাকার দরকার নেই।
- হঠাৎ করে বুকে চাপ, শ্বাসকষ্ট হলে বা মাথা ঘুরে গেলে বা জ্ঞান হারালে হার্টের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে নিয়ে যান রোগীকে। যদি কোভিড সংক্রমণ হয়েও থাকে সেখানকার চিকিৎসকরা আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি চিকিৎসার যে গাইডলাইন করে দিয়েছেন, সেই অনুযায়ীই চিকিৎসা করবেন, ভয় নেই।