লকডাউনে সুদের কারবারিদের পৌষমাস
লকডাউনে ঘরবন্দি জীবনে রোজগার তো দূরের কথা, সঞ্চয়ের টাকাও শেষ। ফলে দৈনন্দিন খরচ সামলাতেও ধারদেনা করতে হচ্ছে অনেককে। কিন্তু ধার দেবে কে? আত্মীয়, পরিজন, বন্ধু-বান্ধব—হাতখালি কমবেশি সবারই। এই অবস্থায় সুদের কারবারিদের পৌষমাস।
ধার দেওয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুদের অঙ্ক। মাস দু’য়েক আগেও যেখানে মাসিক ২-৫ শতাংশ সুদে মিলত ধার, এখন তাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ৮-১০%-এ। সোজা হিসাবে, ১০ হাজার টাকা ধার নিলে বছর শেষে শুধু সুদ বাবদই গুনতে হবে ১২ হাজার টাকা। আসল-সহ ফেরতে লাগবে ২২ হাজার! ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া এতই কঠিন, যে সে সুযোগেই রমরমা সুদের কারবারিদের।
কী ভাবে চলে এই সুদের কারবার? যাদের খাটানোর মতো যথেষ্ট টাকা রয়েছে, তাঁরাই সেই টাকা খাটান। আবার যাঁদের পুঁজি কম, তাঁদেরও কেউ কেউ কম সুদে টাকা ধার নিয়ে বেশি সুদে খাটান। এই পেশায় সরাসরি যুক্ত না থাকলেও কেউ কেউ তাঁদের আয়ের একটা অংশও বাজারে খাটান। ধার পাইয়ে দেওয়া, সুদ এবং আসল আদায়ে থাকে এজেন্টও। এ ভাবেই চলে নেটওয়ার্ক।
এই অবস্থায় স্বল্প-সঞ্চয়ে যে ভাঁড়ে মা ভবানী হবে — বলাই বাহুল্য।