কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ফলবাজার সরবে, তবে আগে হবে পরিকাঠামো

May 12, 2020 | 2 min read

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জোড়াসাঁকোর ফলবাজার সরানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা আগেই শুরু করেছিল কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ। ভিন রাজ্য থেকে ফল বোঝাই বড় লরি বা গাড়ি যাতে শহরে আপাতত না-ঢোকে, তা নিশ্চিত করতে ওই ফলবাজারের বিকল্প জায়গার খোঁজও শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বিকল্প একটি জায়গা ঠিক করা হয়েছে। সোমবার জোড়াসাঁকোর ফলমন্ডির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের কর্তারা। ফল বাজার সরলে যে সব সমস্যা হতে পারে, তার মোকাবিলা কী ভাবে করা হবে, সে সব নিয়েও পুলিশকর্তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আলোচনা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে যে খোলা জায়গায় ফলবাজার সরানো হতে পারে, সেখানে আগে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা সেখানে মুটিয়াদের কাজে লাগিয়ে ফল ওঠানো-নামানো, ঝাড়াইবাছাই বা ফল সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রচণ্ড রোদ বা বৃষ্টি হলে ব্যবসা চালানোও মুশকিল। সে সব কথা মাথায় রেখেই পরিকাঠামো গড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে কলকাতার তুলনামূলক ঘিঞ্জি বাজার এলাকাগুলোকে আপাতত খালি করার চেষ্টা করছি। তার মধ্যে জোড়াসাঁকোর ফলবাজারও রয়েছে। সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।’ তবে রমজান শেষ হওয়ার আগে ওই ফলবাজার স্থানান্তরের কাজ হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

বড়বাজার, পোস্তার বাজারের পাশাপাশি জোড়াসাঁকোর ফল মার্কেটেও রোজ ভিন রাজ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাড়ি ঢোকে। ফলে, সেখানে ভিন রাজ্যের চালক-খালাসিদের আনাগোনা বেশি। গাড়ি থেকে মুটিয়ারা ফলের পেটি নামানোর পর আড়তদারদের কর্মীরা সেই ফল ঝাড়াইবাছাই করেন, পচা বা নষ্ট হওয়া ফল ফেলে দেন। তারপর গুণমান অনুযায়ী ফল বিভিন্ন স্তরে রাখা হয়। এই গোটা প্রক্রিয়াটাই সময় সাপেক্ষ।

ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে খোলা মাঠে ফল রাখা বা মজুতের প্রশ্নই নেই। মুটিয়া বা আড়তের কর্মীদেরও বা সেখানে আনা-নেওয়া কী ভাবে হবে? তাঁদের যাতায়াতের জন্য আলাদা খরচ আছে। তা ছাড়া, জোড়াসাঁকোর ফলবাজারের ফলের একটা বড় অংশ যায় কলকাতা বা আশপাশের এলাকার খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে। ফলমন্ডি শহরের বাইরে চলে গেলে বড় মালবাহী গাড়ির শহরে ঢোকা বন্ধ হবে ঠিকই, কিন্তু সেখান থেকে ফল আবার খুচরো বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে হলে অনেক ছোট গাড়ি নামাতে হবে।

ফলবাজার সরানোর আগে এই সব বিষয় মাথায় রাখছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। যাতে সরানোর সময়ে সেই মতো পদক্ষেপ করা যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#lock down, #potatoes

আরো দেখুন