আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে দিল্লী, পশ্চিমবঙ্গ দশম
২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ১২৪ জন আক্রান্ত হলেন করোনায়। ওই সময়ে এই রোগে মারা গেছেন পাঁচজন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৮। এছাড়া অন্যান্য রোগে মৃত করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৭২। অন্যদিকে, সুস্থ হয়ে ছুটি পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৪৯৯। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩৭৪ জন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়ে হয়েছে ২০৬৩ জন।
প্রকাশিত বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে চার হাজারের বেশী (৪২০১) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৭ হাজার ৬১৫ জনের।
এদিকে, ১৪ জন করোনা আক্রান্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ছুটি পেলেন বেলেঘাটা আইডি থেকে। সোমবার আইডি’র সুপার জানান,তিনজন কোভিড রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে এদিন রাজ্যের সমস্ত কোভিড হাসপাতালগুলির মধ্যে টার্শিয়ারি বা চূড়ান্ত স্তরের হাসপাতাল বলে চিহ্নিত করে নির্দেশনামা জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সংক্রমণের ভয়ে সাধারণ রোগীদের যাবতীয় আউটডোর বন্ধ করে দেওয়া হল।
অন্যদিকে, পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা এক করোনা আক্রান্ত রোগীকে প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর এদিন ছুটি দিয়েছে ডিসান হাসপাতাল। এমনটাই জানিয়েছেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর। মেডিকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তারা ১৬ জন করোনা রোগীকে সুস্থ করেছে। কলকাতা পোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সংস্থার ১৫ জন কর্মী এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সাতজন ইতিমধ্যে ছুটি পেয়েছেন।
মাস্ক ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে— এই অভিযোগ জানিয়ে সোমবার আরজিকর-এর জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ আইসোলশেন ওয়ার্ডে কাজ বন্ধ করে দেন। একটি প্রেস বিবৃতিও জারি করেন তাঁরা। ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে পিপিই ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের সঙ্কট রয়েছে বলে চিঠি লিখে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। যদিও আরজিকর-এর অধ্যক্ষ ডাঃ শুদ্ধোধন বটব্যালের দাবী, ইন্টার্নদের আমিই বলেছি আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাজ করা বন্ধ রাখতে। অতজন মিলে কাজ করার পর সংক্রমণ হলে কী হবে! তাঁর বক্তব্য, বিভাগীয় প্রধানদের কাছ থেকে ওঁদের মাস্ক ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সূত্রের খবর, টেস্ট ছাড়াই করোনা রোগীর শর্তসাপেক্ষে ছুটির সিদ্ধান্ত আইসিএমআর গবেষণাগারে খতিয়ে দেখেই নিয়েছে। তারা দেখেছে, পজিটিভ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে রোগী নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে।