আম্পান সতর্কতায় দ্বীপ থেকে প্রসূতিদের আনা হল হাসপাতালে
বাদাবনের দেশে আম্পানের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে আসাও অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য দপ্তর। একাধিক দ্বীপে বিচ্ছিন্ন গোসাবা ব্লকের মধ্যে থাকা ৩৪ জন গর্ভবতী মহিলাকে মঙ্গলবারই সরকারি ব্যবস্থাপনায় তুলে নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে।
নদীবেষ্টিত গোসাবা ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা প্রতিটি একে অপরের দ্বারা বিচ্ছিন্ন অসংখ্য নদীর মাধ্যমে। গোসাবা, রাঙাবেলিয়া, বালি ১ ও ২, বিপ্রদাসপুর, পাঠানখালি, কচুখালি, সাতজেলিয়া, লাহড়পুর, ছোট মোল্লাখালি, কুমিরমারি, রাধানগর-তারানগর ও আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গর্ভবতী মায়েদের প্রসবের জন্য নদী পেরিয়ে যেতে হয় গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল বা ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
মঙ্গলবার থেকে আগামী এক সপ্তাহ সময় পর্যন্ত ১৭ জন প্রসব হওয়ার কথা রয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও গোসাবা ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত মন্ডলের উদ্যোগে তাঁদের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নদী পার করে নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে থাকা প্রসূতি প্রতীক্ষালয়ে।
গোসাবা, রাঙাবেলিয়া, বিপ্রদাসপুর, বালি ১ নম্বর, কচুখালি ও পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ১২ জন গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে আসা হয়েছে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে। কুমিরমারি,আমতলি, রাধানগর-তারানগর এলাকার পাঁচ জন অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।