আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, মুখটা বন্ধ রাখুন

June 3, 2020 | 2 min read

কথাটা যাঁকে বলা হচ্ছে তাঁর নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আর যিনি বলছেন, তিনি তাঁরই প্রশাসনের এক পুলিশ আধিকারিক! শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, এটাই ঘটেছে সোমবার। দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে টিভি চ্যানেলে এ ভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হিউস্টনের পুলিশ প্রধান আর্ট অ্যাসেভেডোর। যা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে দুনিয়া জুড়ে। কেউ কুর্ণিশ জানাচ্ছেন তাঁর সাহসকে তো কারও বিস্ময়ের কারণ তাঁর স্পর্ধা।

দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হিউস্টনের পুলিশ প্রধান আর্ট অ্যাসেভেডোর।

শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আমেরিকার রাজপথে যে বিক্ষোভের ঢল নেমেছে তার মোকাবিলা করতে, প্রথমে গুলি চালানোর হুমকি এবং পরে সেনা নামানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তপ্ত আমেরিকাকে আরও উত্তাল করে তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাঁর নিত্য নতুন মন্তব্যের জেরে মিনেসোটা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের আগুন এখন চল্লিশটির বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে! নিউ ইয়র্কের মতো শহরে নজিরবিহীন ভাবে কার্ফু জারি করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় শান্তি ফেরাতে খোদ প্রেসিডেন্টকেই মুখ বন্ধ রাখতে বললেন এই পুলিশ অফিসার! তাঁর কথায়, ‘গঠনমূলক কিছু বলার না থাকলে দয়া করে মুখটা বন্ধ রাখুন।’ উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে গভর্নররা যখন চেষ্টা করছেন নিজেদের মতো করে ক্ষোভ সামাল দেওয়ার তখন তাঁদের উদ্দেশে ট্রাম্প সোমবার বলেন, ‘আপনারা দুর্বল বলেই বিক্ষোভ থামছে না।’ সেনা নামিয়ে বিক্ষোভকারীদের দমানোর পরামর্শও দেন তিনি। প্রেসিডেন্টের এমন পরামর্শ শুনে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি হিউস্টনের পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, ‘এটা কাউকে দমানোর বিষয় নয়। মানুষের হৃদয় জয় করতে হবে। দুর্বলতা আর সহমর্মিতার মধ্যে ফারাক বুঝতে হবে। আমরা চাই না যে আমাদের যাবতীয় চেষ্টা অজ্ঞতা দিয়ে ধুয়ে যাক।’ এর পরই টম হ্যাঙ্কসের ‘ফরেস্ট গাম্প’ ছবির একটি সংলাপ উদ্ধৃত করে পুলিশ অফিসার বলেন, ‘কিছু বলার না থাকলে, কথা বলারই দরকার নেই।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Protest, #Donald Trump, #turbulent america, #Black Lives Matter

আরো দেখুন