জগন্নাথের স্নানে স্বাস্থ্যবিধি শিকেয়
লকডাউনের নিয়ম মেনে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রায় ভক্ত-সমাগম হল না বটে, তবে সামাজিক দূরত্ব বিধির দফারফা করলেন সেবায়েতরাই। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর টুইট করা ভিডিয়োয় স্পষ্ট, পুরীর মন্দিরের বিগ্রহগুলিকে স্নান করানোর সময় পুরোহিতদের কারও মুখে মাস্ক ছিল না। তার উপর তাঁদের বিপুল ভিড়ে শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্বের বিধি। পর্বটি দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, এর পর আর কোভিড-১৯ সুরক্ষা বিধির সার্থকতা কোথায়?
স্মরণকালের মধ্যে এই প্রথম পুরীতে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রায় ভক্ত-সমাগম হল না। কোভিড-১৯ বিধি সুষ্ঠুভাবে পালন করতেই এ বছর ভক্তদের ঢল এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থির হয়, হাতেগোনা সেবায়েতরাই অনুষ্ঠানের সমস্ত নিয়ম ও আচার পালন করবেন। সে জন্য গত বৃহস্পতিবার রাত দশটায় শহরে ১৪৪ ধারা জারি হয় যা শনিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার কড়াকড়িও বাড়ানো হয় বলে জানান পুরীর ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর বলবন্ত সিং। এমনকী যে সেবায়েতরা মূল মন্দির থেকে স্নানমণ্ডপের দিকে বিগ্রহগুলিকে নিয়ে যান, তাঁদের অনুষ্ঠানটির আগে করোনার পরীক্ষাও করা হয়। শুরু হয় বাকি সেবায়েতদের ভিড়, শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্ব বিধি!
তবে এর মাঝেই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ও সুদর্শনদেবের বিগ্রহকে মন্দির চত্বরেই স্নানমণ্ডপের বেদির উপর বসিয়ে সুগন্ধী দেওয়া ১০৮ ঘড়া জল দিয়ে স্নান করানো হয়, করানো হয় সাজগোজও। কথিত আছে, জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমাতেই জন্মেছিলেন জগন্নাথদেব। সেই উপলক্ষ্যেই স্নানযাত্রা যার সঙ্গেই শুরু হয় রথযাত্রার প্রস্তুতি। বহু ভক্তের কাছেই তাই এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।