আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

লন্ডন থেকে সিডনি, লড়াই ছড়াচ্ছে বিশ্বে

June 8, 2020 | 2 min read

লন্ডন থেকে সিডনি— জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ঘিরে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী বিক্ষোভ জুড়ে দিচ্ছে পৃথিবীর সব প্রান্তকে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিরস্ত্র, কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক ‘খুনে’র ন্যায়বিচার চেয়ে উত্তাল আমেরিকা, তার আঁচ ক্রমেই ছড়াচ্ছে দেশের বাইরেও।

শনিবার ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান দিয়ে লন্ডনের রাস্তায় নেমেছিলেন কয়েক হাজার প্রতিবাদী। পার্লামেন্টে স্কোয়্যারে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও প্রতিবাদী-পুলিশ সংঘর্ষ হয় ডাউনিং স্ট্রিটে, প্রধানমন্ত্রীর বরিস জনসনের বাসভবনের কাছে। প্রতিবাদীদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খানও। তাঁর মতে, বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে মানুষের এই লড়াই ও ক্ষোভ সঙ্গত, কিন্তু প্রতিবাদের নামে হিংসা যেন না ছড়ায়, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন সাদিক। অন্যদিকে, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ প্রতিবাদকে সমর্থন করলেও এ ধরনের জনসমাগম নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। কিন্তু সংক্রমণের বিপদের থেকেও বড় হয়ে উঠেছে বর্ণবিদ্বেষের বিপদ, সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠল বক্সিংয়ে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যান্থনি জোশুয়ার কথায়। শনিবার লন্ডনের প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন জোশুয়া। বললেন, ‘ভাইরাসটাকে অতি সংক্রামক ঘোষণা করা হয়েছে। এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। আমি কোভিড-১৯-এর কথা বলছি না, বর্ণবিদ্বেষের ভাইরাসের কথা বলছি।’ কালো পোশাকে প্রতিবাদে সামিল হওয়া বিশ্বখ্যাত এই বক্সারের কথায়, ‘মানুষের এমন বর্ণবিদ্বেষমূলক, অর্থহীন খুন দেখে আর আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। এই খুনের কীসের জন্য? শুধু গায়ের রংয়ের বিভেদের জন্য?’

এই প্রশ্ন তুলেই পথে নেমেছেন অস্ট্রেলিয়ার মানুষও। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের বক্তব্য ছিল, এ ভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ নয়, প্রতিবাদের অন্য পথ বেছে নিক মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথায় কান না দিয়েই শনিবার ভরে উঠল সিডনির রাস্তা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়, প্রেসিডেন্টের অফিসের বাইরে চলে বিক্ষোভ। প্যারিসে মার্কিন দূতাবাসের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে রায়ট পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়।

আমেরিকাতেও বিক্ষোভের আগুন এখনও জ্বলছে। সেখানে একাধিক জায়গায় শনিবারও দেখানো হয় বিক্ষোভ। সূত্রের খবর, এর মধ্যেই প্রতিবাদ নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনে ১০ হাজার সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এসপার-সহ ওভাল অফিসের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে ট্রাম্পের মতবিরোধ হয়েছে বলে খবর, তার পরও জেদে অনড় ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস অবশ্য এ বাপারে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। কিন্তু যে বিক্ষোভের রেশ দেশের বাইরে ছড়িয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প বলপ্রয়োগ করলে ফল কী হবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Black Lives Matter, #america

আরো দেখুন