কোয়ারান্টিন সেন্টারে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল পরিযায়ীর
কোয়ারান্টিন সেন্টারে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। গত বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ ব্লকের যদুপুরে স্কুলের মধ্যে কালাচ সাপ কামড়ায় বিশ্বজিৎ খাঁড়া নামের এক পরিযায়ীকে। প্রাণে বাঁচেন তিনি। তবে বাঁচানো যায়নি দিলীপ পণ্ডিত (৬৫) নামে ওই পরিযায়ীকে। বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জে জেলা পরিষদ সোসাইটি মার্কেট কমপ্লেক্সে কোয়ারান্টিনে ছিলেন তিনি। সেখানেই শুক্রবার রাতে সাপের কামড় খান। ঘটনাস্থলেই মারা যান দিলীপ। শুক্রবারই বিষধর সাপের আতঙ্ক ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর একটি কোয়ারান্টিন সেন্টারে। শনিবার সকালে ওই সেন্টার ছাড়েন জনা তিরিশেক পরিযায়ী। এ ধরনের একের পর এক ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন কোয়ারান্টিন সেন্টারে থাকা পরিযায়ীদের মধ্যে। বর্ষা আসন্ন, সাপের উপদ্রব বাড়বে। তাই কোয়ারান্টিন সেন্টারগুলিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে।
দিন ছয়েক আগে পুনে থেকে ফেরেন দিলীপ। সেখানে তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। পাগলিগঞ্জের দিলীপের সঙ্গে ফিরেছিলেন পাশের গ্রাম পোল্লাপাড়ার সুভাষ মালি। ফেরার পর তাঁরা দু’জনই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে স্থানীয় খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান। সেখানে তাঁদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করায় হয়। তাঁদের হোম কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি। তাঁরা গ্রামে ফিরতেই বেঁকে বসেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না ওই দু’জনকে। বাধ্য হয়ে তাঁরা ফিরে যান। পরে পাগলিগঞ্জে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত সোসাইটি মার্কেট কমপ্লেক্সের কোয়ারান্টিন সেন্টারে ঠাঁই হয় তাঁদের। শনিবার রাতে সেখানেই ঘুমোচ্ছিলেন দিলীপ। সেই সময় তাঁকে সাপে কামড়ায়। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর যায় বাড়িতে। বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে আসেন দিলীপের পরিজন। পুলিশ এসে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতের আত্মীয় সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘দিলীপের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এখনও তার রিপোর্ট আসেনি। এর মধ্যেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল ওঁর।’