নিউজিল্যান্ড করোনা মুক্ত, নেচে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী
দেশে আর কোনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত নেই। শেষ রোগীও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাই আপাতত করোনামুক্ত নিউজিল্যান্ড। সোমবার এমনটাই দাবি করলেন সেদেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন জানিয়েছেন, ‘করোনা সংক্রমণ আমরা রুখে দিতে পেরেছি। সোমবার থেকে বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। সীমান্ত আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই ভাইরাস যাতে আর ফিরে না আসে, সেব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫০ লক্ষ। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ১৫৪ জন। মৃতের সংখ্যা ২২। দেশে সংক্রমণ শুরু হতেই কড়া পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। তাতেই মিলেছে সাফল্য। গত ১৭ দিন সেখানে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩৩। প্রাণ হারিয়েছেন ৪ লক্ষ ৩ হাজার ১৩১ জন। মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে আমেরিকা। সরকারি হিসেবে সেখানে মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ১৯ লক্ষ ৪২ হাজার জন। এদিকে আজ, সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে নিউ ইয়র্ক শহরে। প্রায় ১০০ দিন পর। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় আমেরিকার পরেই রয়েছে ব্রাজিল। সেখানে সংক্রমণের শিকার ৬ লক্ষ ৯১ হাজার। ৩৬ হাজার ৪৫৫ জন মারা গিয়েছেন। দৈনিক মৃত্যুর হারে সকলকেই পিছনে ফেলে দিয়েছে ব্রাজিল। অন্যদিকে, পাকিস্তানেও সংক্রামিতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬৭ জনের। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। সিঙ্গাপুরেও আরও ৩৮৬ জনের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশি শ্রমিক। দক্ষিণ কোরিয়াতেও ৩৮ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।