মায়ের পাশেই কবর দেওয়া হল জর্জ ফ্লয়েডকে
পুলিশ গলায় হাঁটু চেপে ধরেছিল। শ্বাস নিতে পারছিলেন না ফ্লয়েড। তাঁর মৃত্যু রাতারাতি বদলে দিয়েছে সমস্ত হিসেব নিকেশ। ফ্লয়েডকে যে পুলিশ ‘খুন’ করেছিল, আজ শেষযাত্রায় তাঁকে স্যালুট করল তাঁরাই।
ফ্লয়েড বেঁচে থাকতে হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁর জীবনটা এত দামি। যেমন ভাবেননি মায়ের পাশেই কবরে শুতে পারবেন তিনি।
মঙ্গলবার চোখের জলে ফ্লয়েডকে বিদায় জানাল হিউস্টনের নাগরিকরা। চোখের জলেই শপথ নেওয়া হল, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না।
মঙ্গলবার তাঁর দেহ ঘোড়ার গাড়ি করে গির্জা থেকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কবরস্থানে তাঁর আত্মীয় বন্ধু ছাড়াও ছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। অন্তত ২৫ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল।মঙ্গলবারও জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মার্কিনিরা।
জর্জের মৃত্যু হয়েছে মে মাসের শেষ সপ্তাহে। জর্জের ছোটভাই এখনও ঘুমোতে পারেন না। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, জর্জ আমার সুপ্যারম্যান ছিল। সেই সুপারম্যানই দৈত্যের মতো শক্তিশালী আন্দোলনের জন্ম দিয়ে গিয়েছেন। ১৪০ টি শহরে ঘুম নেই বিচারপ্রার্থী বিক্ষুব্ধদের।
হয়তো এই জরাজীর্ণ কুঅভ্যাস থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দেবে এই আন্দোলনই। মরে গিয়েও অমর হবেন জর্জ ফ্লয়েড।