উপসর্গহীনদের থেকে করোনা ছড়ানো নিয়ে ভোলবদল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
উপসর্গহীনদের থেকে করোনা ছড়ানো প্রসঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোলবদল করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফলে করোনা মোকাবিলায় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠে গেল।
সংস্থার করোনা ভাইরাস মোকাবিলা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল টিমের প্রধান তথা মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কারখভ সোমবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘উপসর্গহীনদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানো বা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এবিষয়ে খুবই কম প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা করোনা সম্পর্কিত রিপোর্ট নিচ্ছি। অনেকে আক্রান্ত হলেও কোনও উপসর্গ থাকছে না। তবে সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা খুবই বিরল। তবে এবিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আমরা আরও গবেষণা করছি।’ সোমবার এমনটাই জানিয়েছিলেন কারখভ।
সংস্থার আধিকারিকের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। কারখভের ওই মতামত ভুল বলে দাবি করেন বিশ্বের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে উপসর্গহীনদের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কারণ উপসর্গহীনদের থেকে সংক্রমণ নিঃশব্দে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
কারখভের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংক্রামক ব্যধির গবেষকরা জানান, উপসর্গহীনদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানো বা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম-একথা কখনওই জোর দিয়ে বলা যায় না। একই কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের এক চিকিৎসক।
লন্ডনের আরেক গবেষক জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণায় তিনি ভীষণ অবাক। তাঁর দাবি, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, তাঁর বক্তব্য নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, তা জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে আরও একবার বক্তব্য রাখেন কারখভ। তিনি বলেন, ‘উপসর্গহীনদের থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো প্রসঙ্গে করা আমার বক্তব্য নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দু-তিনটি দেশে সমীক্ষা করে যে তথ্য উঠে এসেছে, আমি সেটার কথা বলেছিলাম। গোটা বিশ্বের নয়।‘
এদিকে, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের বয়স অল্প বা যাঁদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাঁদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না।