কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

পরিবেশ রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্মান কলকাতার ই-বাসের

June 16, 2020 | 2 min read

একদিকে শহরের পরিকাঠামো উন্নয়ন, অন্য দিকে বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণে বছর খানেক আগে কলকাতায় চালু হয়েছিল ইলেকট্রিক বাস। কলকাতার সেই ই-বাস পরিষেবা ফের আন্তর্জাতিক দরবারে স্বীকৃতি জিতে নিল। রাজ্য পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ এজেন্সির ২০২০-এর গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিকেল আউটলুক (জেভো) রিপোর্ট সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে প্যারিসে। দেশের একমাত্র শহর হিসাবে কলকাতার ই-বাস পরিষেবা প্রশংসিত হয়েছে ওই রিপোর্টে। চিনের শেনঝেন, ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ও চিলির সান্তিয়াগোর সঙ্গেই চতুর্থ শহর হিসাবে উঠে এসেছে কলকাতা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক শহরের কাছেই আদর্শ হয়ে উঠেছে কলকাতা।

রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহে পরিবহণ দপ্তর বছরখানেক আগে এই উদ্যোগ নিয়েছিল। বর্তমানে রাজ্য পরিবহণ সংস্থার উদ্যোগে ৮০টি ই-বাস চলছে। রাজ্য সরকার স্বচ্ছ, পরিবেশবান্ধব ও স্মার্ট পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করতে বদ্ধপরিকর। পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, শুধু ই-বাস নয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণে খুব শিগগিরই পরিবেশবান্ধব জ্বালানি চালিত বাসও চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের শেষেই সেই ব্যবস্থা চালু হতে পারে। এর আগে কলকাতায় পরিবেশবান্ধব ই-বাস চালু করার জন্য কোপেনহেগেনও সম্মানিত হয়েছে রাজ্য।

কলকাতায় ইলেকট্রিক বাস

পরিবেশ আদালতে কলকাতা ও হাওড়ার বায়ুদূষণ সংক্রান্ত মামলায় একাধিকবার রাজ্যের তরফে ই-বাসের সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে। ওই মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘এটা নিশ্চয়ই ভালো খবর। শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে আশু পদক্ষেপ হিসাবে এটা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। তবে এটাও ঠিক, পরোক্ষভাবে ই-বাসেরও দূষণে কিছুটা হলেও ভূমিকা রয়েছে। কারণ, বাসের ব্যাটারি নির্দিষ্ট সময় অন্তর চার্জ দিতে হয় এবং আমাদের রাজ্যে প্রায় ৯৭ শতাংশ বিদ্যুৎই আসে কয়লা বা জ্বালানি পুড়িয়ে।’

পরিবেশ দপ্তর দূত্রের খবর, শহরের পুরোনো বাস-মিনিবাস বায়ুদূষণের একটা বড় উৎস। বিশেষ করে গাড়ির ধোঁয়ার কারণে বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। সেই তুলনায় ই-বাসে দূষণের হার অনেকটা কম। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও শ’দুয়েক ই-বাস প্রাইভেট অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তিতে নামবে। এরমধ্যে কলকাতা লাগোয়া নিউটাউন, আসানসোল-দুর্গাপুর, হলদিয়া ও শিলিগুড়িতে গড়ে ৫০টি করে বাস নামতে পারে। তবে সেক্ষেত্রেও যে নির্মাতা সংস্থা বাস চালাবে, তাদের মাসে ন্যূনতম পাঁচ হাজার কিলোমিটার চালাতে হবে, বাসের সিটসহ যাবতীয় কাঠামো ঝকঝকে রাখতে হবে, এমন বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata, #Pollution, #E BUS

আরো দেখুন