ইন্দো-চিন সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নজর রাখছে আমেরিকা, বিবৃতি হোয়াইট হাউসের
লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতে কড়া নজর রাখছে আমেরিকা। মঙ্গলবার গালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষের একাধিক সেনা হতহত হওয়ার পরই বিবৃতি দিয়ে জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুতই সেই সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে মিটবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি।
সোমবার থেকেই বাড়তে শুরু করে চিনা সেনার আস্ফালন। তা দেখে চুপ থাকেনি ভারতও। তারাও এগিয়ে যায় প্রত্যুত্তর দিতে। ফলস্বরূপ যে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছিল তারই কিছুটা বাস্তবে দেখা মেলে। ১৫ জুন সোমবার, রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের উপর হামলা চালায় চিনের লাল ফৌজ। ভারতীয়রাও পালটা জবাব দেয়। সংঘর্ষের জেরে দুপক্ষেরই একাধিক সেনা হতাহত হয়। ভারতের তরফে বিহার রেজিমেন্টের এক সেনা অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু-সহ ২০ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়। তবে বেজিং এখনও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। ফলে লালফৌজের কতজন আহত বা নিহত তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, চিনের ৪৩ জন সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বুধবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর নিহত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, “লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ভারত-চিন উভয়পক্ষই তত্পর হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করছি। আমেরিকা এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেই চেষ্টা করা হবে মার্কিন প্রশাসনের তরফে।”
গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ভারত-চিন সংঘাতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু নয়া দিল্লির তরফ থেকে সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দেওয়া হয়। জানানো হয় প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে সমস্যা সমাধান করতে ভারত একাই সিদ্ধহস্ত।