দেশ বিভাগে ফিরে যান

‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর হাসপাতাল নাকি?

July 5, 2020 | 2 min read

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এটাও কি ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর সেই হাসপাতালটার মতোই? অন্য সময়ে ক্লাবঘর, আর মুন্নাভাইয়ের বাবা এলেই ভোল পাল্টে ‘শ্রী হরিপ্রসাদ শর্মা দাতব্য হাসপাতাল’!

মন্তব্যের লক্ষ্য লেহ-র সেই ঝকঝকে হাসপাতালটি, যেখানে গিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাতে আহত জওয়ানদের দেখে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার মোদীর সফরের পর থেকেই হাসপাতালের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কিছু নেটিজেন জওয়ানদের সাহসকে কুর্ণিশ এবং প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানালেও, অনেকেরই বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাসপাতালের এমন ‘ঝকঝকে’ চেহারা!

নেটিজেনদের বক্তব্য, হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হবে, এটাই কাম্য। দেশের জন্য যাঁরা লড়াই করছেন তাঁদের হাসপাতাল যে আরও উন্নত হবে, সেটাও ভীষণ ভাবে কাম্য। কিন্তু, পরিচ্ছন্ন মানে তো সরঞ্জামহীন হওয়া নয়!

ভারতীয় জওয়ানদের জন্য আধুনিক হসপিটাল, প্রতীকী চিত্র

হাসপাতালে স্যালাইনের বোতল, অক্সিজেন সিলিন্ডার কিংবা ওষুধ-ইঞ্জেকশন কিছুই থাকবে না — সেটা কী করে সম্ভব! আহতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, অথচ বেডে যাঁরা বসে রয়েছেন তাঁদের কারও শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই, ব্যান্ডেজ নেই। হাসপাতালের ভাইরাল হওয়া ছবি, যাতে প্রধানমন্ত্রীকেও দেখা যাচ্ছে, সেগুলি ‘মার্ক’ করে এই প্রশ্নগুলি তুলেছেন নেটিজেনরা। এখানেই শেষ নয়! কিছু ছবিতে ‘প্রোজেক্টর’ও দেখা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে টুইটারে। সাধারণ ভাবে প্রোজেক্টরের মতো যন্ত্র কনফারেন্স হলে ব্যবহার করা হয়। নেটিজেনদের প্রশ্ন, তবে কি প্রধানমন্ত্রী যাবেন বলে কনফারেন্স হলকেই হাসপাতাল বানিয়ে ফেলা হয়? অনেকে আবার প্রশ্ন তোলেন জওয়ানদের চিকিৎসা পরিষেবার মান নিয়েও।

নেটিজেনদের এই প্রশ্নগুলিকে হাতিয়ার করে শুক্রবার রাত থেকে মোদী সরকারকে বিঁধতে আসরে নেমে পড়ে বিরোধীরা। প্রশ্ন ওঠে, সবই কি ছবি তোলার স্বার্থে? শনিবার বিবৃতি জারি করে এই বিতর্কের জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। বিবৃতিতে এই সমস্ত প্রশ্নকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ বলা হয়েছে। ক্ষুব্ধ বাহিনীর বক্তব্য, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের যে আমাদের বীর সেনাদের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হচ্ছে।’ তবে, এটি যে কনফারেন্স হল তা স্বীকার করে নিয়েছে সেনা। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘এই অংশটি সাধারণ হাসপাতালেরই অঙ্গ। করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালের সম্প্রসারণ করে একশোটি বেড বাড়ানো হয়েছে। এটি তার মধ্যে পড়ে।’ বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে বাহিনী জানিয়েছে, ‘এই হলটি আগে প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হত। যেহেতু সাধারণ হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে, তাই এটাকে ওয়ার্ড করে ফেলা হয়েছে।’ এই পরিবর্তন যে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে হয়নি, পরোক্ষে সেটাও স্পষ্ট করা হয়েছে বিবৃতিতে। লেখা হয়েছে, কিছু দিন আগে সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে গিয়েও এখানেই দেখে এসেছেন জওয়ানদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Narendra Modi, #Modern hospital

আরো দেখুন