ভগবান রামচন্দ্র নেপালি ছিলেন, দাবি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর
অযোধ্যা নেপালে অবস্থিত। ভগবান রামচন্দ্র ভারতীয় নন, নেপালি ছিলেন, সোমবার একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘প্রকৃত অযোধ্যা নেপালের বীরগঞ্জের পশ্চিমে, থোরিতে অবস্থিত। কিন্তু, সেই সত্যের বিকৃতি ঘটিয়েছে ভারত। ভগবান রামচন্দ্র ভারতে জন্মেছেন বলে ভারতীয়রা দাবি করেন।’ ওলির চাঞ্চল্যকর দাবির পর বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
উল্লেখ্য, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির চিন ঘেঁষা নীতির ফলে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক ইদানিং খারাপ হয়েছে। নয়াদিল্লির আপত্তির তোয়াক্কা না করে উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করা নতুন মানচিত্র পেশ করেছে নেপাল।
কিছুদিন আগে ভারত-নেপাল সীমান্তে গুলি চালায় নেপালি সেনা। ঘটনায় এক ভারতীয়র মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। এছাড়া নেপালের রেডিওতে বাজছে ভারত বিরোধী গান। উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার ঝুলাঘাট, ধরচুলায় দীর্ঘদিন ধরে নেপালি রেডিয়ো, এফএম শোনার চল আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মে মাস থেকে ভারত কালাপানি রেডিয়ো, ধরচুলা রেডিয়োতে বিরোধী গান চালানো হচ্ছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির এসব হঠকারি সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে ভারত-নেপাল দ্বীপাক্ষিক সম্পর্কে। যদিও এর পেছনে চিনের হাত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
এবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দাবি জানালেন, অযোধ্যা ভারতে নয় নেপালে অবস্থিত। ভগবান রামচন্দ্রও নেপালি ছিলেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এখন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই দেখার।
এই মুহূর্তে নেপালে রাজনৈতিকভাবে চাপে রয়েছেন অলি। অলির পদত্যাগের দাবি তীব্র হচ্ছে সেখানে। তাঁর চিন ঘেঁষা নীতির কারণে শুধু বিরোধীরাই নন, শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিরে অন্দরেও অলি-বিরোধী হাওয়া বইছে। তবে অলির অভিযোগ, ভারতের উস্কানিতে তাঁকে উত্খাতের চেষ্টা চলছে। দলীয় অনেক নেতাই এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।