একুশে মমতার স্বপ্ন পূরণে তরুণ ব্রিগেডের গুরুত্ব বাড়ল তৃণমূল
একুশে সরকার গঠনের হ্যাটট্রিক করতে তরুণ ব্রিগেডকে সামনের সারিতে নিয়ে এল তৃণমূল। ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণের মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন, ছাত্র-যুবরা এগিয়ে আসুন। স্বপ্নের ভোর নিয়ে আসুন। ওই সভার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলে তরুণ প্রজন্মকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হল। তৃণমূল নেত্রী এটা বুঝিয়ে দিলেন, প্রবীণদের পরামর্শ নিয়ে নবীনরা এগিয়ে নিয়ে যাবে জোড়া ফুলের পতাকা। দলের যুব সভাপতি পদে থাকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী জায়গা পেলেন দলের যুব সহ-সভাপতি পদে। নতুন মুখ হিসেবে দায়িত্ব বাড়ল দেবাংশু ভট্টাচার্য, সৌম্য বক্সীদের।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল বিধাননগর থেকে এখন গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার যুবর দায়িত্ব সামলাবেন দেবরাজ চক্রবর্তী। উত্তর কলকাতা দেখবেন অনিন্দ্যকিশোর রাউত। দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্বে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। তরুণ মুখ হলেও এঁরা যথেষ্টই পরিচিত। অভিষেক বলেন, আমরা সবাই বাংলার মানুষের জন্য সাধ্যের মধ্যে সেবা করব।
এছাড়াও দলের জেলা সভাপতি ও অন্যান্য কমিটিতেও তরুণ মুখের প্রাধান্য। পার্থপ্রতিম রায়, মহুয়া মৈত্র, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, রঞ্জন (রাণা) সরকার, গৌতম দাস, শ্যামল সাঁতরার মতো তরুণ তুর্কিরা জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই ক্ষমতা রয়েছে নেতৃত্ব দেওয়ার, সংগঠনকে শক্তিশালী করার।
দলের কোর কমিটিতেও আনা হল তরুণ-তারকা মুখ দেব, মিমি, নুসরতকে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বামফ্রন্টের অধিকাংশ নেতাই প্রবীণ। সিপিএম চেষ্টা করেও দলের মুখ হিসাবে নতুনদের তুলে আনতে পারেনি। এটাই ৩৪ বছরের সরকারের ঘুরে না দাঁড়াতে পারার অন্যতম কারণ বলে মনে করে দলের একাংশ। অন্যদিকে বিজেপিও দলে তরুণ মুখ খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট না করে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তরুণ ও নতুনদের এগিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর দলে আগামী দিনের সংগঠক হওয়ার যোগ্য কর্মী রয়েছেন।