প্রতি ওয়ার্ডে, বুথে বুথে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলার নির্দেশ তৃণমূলের
দল থেকে এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করতে বলা হল। ওয়ার্ড সভাপতি, ব্লক সভাপতি ও বুথের দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি গ্রুপ তৈরি করবেন। গ্রুপে কতজন থাকতে পারেন তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মীদেরই এই গ্রুপে নিতে বলা হয়েছে। দলের কর্মসূচি ও বক্তব্য এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে জানা যাবে। মত বিনিময় হবে। এলাকার কাজ কতটা হয়েছে, কতটা বাকি আছে তা সবই জানা যাবে। কোভিড পরিস্থিতিতে দলের কর্মসূচি রাস্তায় নেমে নেওয়া যাচ্ছে না। বিরোধী দলের সদস্যরা যেভাবে লকডাউন আইন ভেঙে মিটিং মিছিল করছে, শাসকদল সেভাবে করতে পারে না।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভাল হবে। দল শক্তিশালী হবে। দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির বার্তাগুলি নিয়ে আলোচনা করা যাবে। পারস্পরিক মতের আদান–প্রদান হবে। বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা অপপ্রচার করছে। গ্রুপে সকলের মত নিয়ে বিজেপি–র কুৎসা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দেওয়া যাবে। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের উদ্যোগে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে ফেলেছে। খবরাখবর দ্রুত পাঠিয়ে দিতে পারছেন। অভিষেক ব্যানার্জির তৈরি বাংলার ‘যুবশক্তি’–র যুবকর্মীদেরও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করতে বলা হয়েছে। দল থেকে বলা হয়েছে দলের প্রয়োজনে এই গ্রুপ করতে হবে। এটা দলের কাজের মধ্যেই পড়বে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছেন। তিনি নিজে সেই গ্রুপে থাকেন নিয়মিত। ফেসবুকের মাধ্যমে দলের বক্তব্য তুলে ধরেন। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সব জেলার সভাপতির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কথা বলেন। তিনি বলেন, এতে কাজের অনেক সুবিধা হয়। দ্রুত খবর পৌঁছে দেওয়া যায়। কর্মসূচিও জানিয়ে দেওয়া যায়।
তৃণমূলের নিজস্ব মিডিয়া সেল রয়েছে। এই মিডিয়া সেল থেকে দিল্লি ও কলকাতার সব খবর দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থাকলে এই খবরগুলি অতি সহজেই পাওয়া যাবে। কর্মীদের কাজের সুবিধা হবে। তাঁরা সব খবর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন। যখন প্রয়োজন হবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্যরা একটি জায়গায় মিলিত হয়ে আলোচনাসভা করতে পারবেন। দলের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করা যাবে। দলের এক শীর্ষনেতা জানান, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হলে সকলের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে। সামনে কঠিন লড়াই আসছে। এই লড়াইয়ে যেভাবেই হোক বিজেপিকে হারাতে হবে। নেত্রী দলের রণকৌশল ঠিক করে দেবেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই রণকৌশল গোটা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।