মন্দির বাঁচাতে মুসলিম যুবকদের মানবশৃঙ্খল, ফিরল দুষ্কৃতীরা
ফেসবুক পোস্ট ঘিরে পরিস্থিতি যখন হিংসাত্মক আকার ধারণ করেছে, ঠিক সেই সময়ই সংহতির বার্তা উঠে এল বেঙ্গালুরু থেকে। ধর্মস্থানে যাতে হিংসার আঁচ না পৌঁছয়, তার জন্য মানবশৃঙ্খল গড়ে মন্দির রক্ষা করতে দেখা গেল এক দল মুসলিম যুবককে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো। তাতে ওই যুবকদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকরা।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস মূর্তির এক আত্মীয়ের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে মঙ্গলবার হিংসা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বেঙ্গালুরুতে। ওই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে চড়াও হয় এক দল দুষ্কৃতী। সেখানে দেদার ভাঙচুর চালায় তারা। ছোড়া হয় এলোপাথাড়ি পাথর। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগও করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে, তাদের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাধে ওই দুষ্কৃতীদের। তাতে ৬০ জন পুলিশকর্মী জখম হন। হাঙ্গামাকারীদের হটাতে পুলিশ গুলি চালালে মৃত্যু হয় তিন জনের।
সেখান থেকে ডিজে হল্লি থানা এলাকায় অবস্থিত একটি মন্দিরে ঢুকতে যায় ওই দুষ্কৃতীদের দল। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য আগে থেকেই মন্দিরের বাইরে মানবশৃঙ্খল গড়ে দাঁড়িয়েছিলেন একদল মুসলিম যুবক। হাঙ্গামাকারীরা সেখানে ঢুকতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। তাঁরা এই পদক্ষেপ না করলে অঘটন ঘটে যেত বলে দাবি স্থানীয়দের।
গতকাল রাত থেকেই এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এ দিন সকালে সংবাদ সংস্থা এএনআই-ও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে। তাতে ওই যুবকদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকরা। এটাই আসল ভারতের স্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে বেঙ্গালুরুবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতার যে আত্মীয়ের পোস্ট ঘিরে পরিস্থিতি হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।