কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

তরুণীকে কুরুচিকর প্রস্তাব, ফেসবুকে অভিযুক্ত ডিওয়াইএফআই নেতা

August 13, 2020 | 1 min read

কাউকে করেছিলেন ‘হট’ ছবি দেওয়ার আবেদন। আবার কাউকে করেছেন বিকৃত যৌন ইঙ্গিত। এছাড়া কার্ল মার্ক্সের নামে শপথ নিয়ে সমস্ত কথোপকথন ডিলিট করে করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট নিউটাউনের সিপিএম পার্টি এবং ডিওয়াইএফআই জেলা কমিটির সদস্য ঋদ্ধ চৌধুরির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে উত্তাল নেটদুনিয়া।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘বড়দা’ বলেই পরিচিত ঋদ্ধ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক পড়ুয়া তাঁর সঙ্গে পরীক্ষা বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ, তথ্যের বিনিময়ে আজব দাবি করে বসেন ঋদ্ধ। তিনি তরুণীর ‘হট’ ছবি চান বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয় ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপ ডাউনলোডের জন্য সে চাপ দিতে থাকে বলেও অভিযোগ। দু’জনের কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন ওই তরুণী। আরও এক তরুণীও ঋদ্ধর বিরুদ্ধে যৌন ইঙ্গিত করার অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, মেসেজে কথাবার্তার মাধ্যমে বিকৃত যৌন ইঙ্গিত করে ঋদ্ধ। কার্ল মার্ক্সের নামে শপথ নিয়ে ওই তরুণীকে তিনি আশ্বাস দেন এই সমস্ত ‘অশ্লীল’ কথাবার্তার কোনও প্রমাণ রাখবেন না ঋদ্ধ। সবই নাকি ডিলিট করে দেবেন। ওই কথোপকথনেরও স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিযোগকারিণী।

https://www.facebook.com/bandopadhyayhiya/posts/3479427792101512
https://www.facebook.com/bandopadhyayhiya/posts/3475631495814475

ঋদ্ধ চৌধুরির সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি সিঙ্গল। এটাই আমার মস্তির টাইম।” সেক্ষেত্রে অনেকেই বলছেন, ‘মস্তি’ করতেই হয়তো একাধিক তরুণীকে এমন কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকেন ঋদ্ধ। ডিওয়াইএফআই জেলা কমিটির সদস্য ঋদ্ধও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন তিনি। এবার থেকে নিজেকে প্রকৃত বামপন্থী হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন বলেও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ঋদ্ধ। তবে তাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি হাসির খোরাকই হয়েছেন। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র যদিও ঋদ্ধর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তসাপেক্ষ বলেই দাবি করেছেন। তিনি জানান, অভিযোগ প্রমাণ হলে ঋদ্ধর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Facebook, #DYFI, #Riddho Chowdhury

আরো দেখুন