মমতার হাত শক্ত করলেন কয়েকশ নেতা-কর্মী
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। গত লোকসভা ভোটে বাংলায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। যা দেখে রীতিমত আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। যদিও গত কয়েকমাসে বিজেপিকে একের পর এক গোল দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। বিজেপির একাধিক শক্তঘাঁটিতে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। একাধিক বিজেপির হেভিওয়েট নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।
শুধু তাই নয়, একের পর এক এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের ছিনিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। যা শাসকদলের নিচুতলার কর্মীদের চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তিকেও আরও একবার শক্তিশালী করতে চলেছে তৃণমূল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক কারবারিরা।
আর সেই লক্ষ্যেই ফের একবার বিরোধী শিবিরে থাবা বসাল শাসকদল তৃণমূল। এক হাজারেরও বেশি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। দক্ষিণ হাওড়া, শিবপুর এবং মধ্য হাওড়া এই তিন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রায় এক হাজার কর্মী সমর্থক রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
এদের মধ্যে বেশিরভাগই বিজেপি এবং সিপিএম থেকে তৃণমূলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। এদিন বিকেলে দলের জেলা কার্যালয়ে এদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন অরূপ রায়। অরূপ রায় বলেন, এরা তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়ে আমাদের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন। আমরা সেই আবেদন মঞ্জুর করেছি। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই তৃণমূলের ভার্চুয়াল শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ভুল করে যদি কেউ বিজেপিতে গিয়ে থাকেন, তাহলে তৃণমূলে ফিরে আসুন। কেউ যদি কংগ্রেস বা সিপিএমে গিয়ে থাকেন, তাঁরাও ফিরে আসুন। মানুষের জন্যে যদি কাজ করতে চান, তাহলে তৃণমূলেই একমাত্র সেই সুযোগ পাবেন।’
তৃণমূল নেত্রীর সেই ডাকে বাস্তবেই ব্যাপক সাড়া মিলছে। দেখা যাচ্ছে, একুশে জুলাইয়ের পর থেকেই তৃণমূলে যোগদানের প্রবণতা উত্তোরত্তর বাড়ছে। যে জঙ্গলমহল গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, সেই জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরেও বিগত কয়েক মাসে গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ।