রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বাছাই প্রক্রিয়া শুরু

August 19, 2020 | 2 min read

রাজস্থানে সঙ্কট অনেকটাই সামাল দেওয়ার পরে এ বার বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বাছাইয়ে নজর দিচ্ছে দলের হাইকম্যান্ড। প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব, রাজ্যে দলের সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ তাঁর চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন দিল্লিতে। কংগ্রেস সূত্রের ইঙ্গিত, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অধীর চৌধুরী এবং আব্দুল মান্নান— এই তিন চেনা মুখকে নিয়েই ভাবনাচিন্তা চলছে এআইসিসি-তে।

বাংলার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা বলে গৌরব তাঁর রিপোর্ট এআইসিসি-র কাছে জমা দিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে লন্ডন গিয়েছেন। গৌরবের রিপোর্ট পাওয়ার পরে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল ফের রাজ্যের তিন বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গেই কথা বলেছেন। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীরবাবু স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে এআইসিসি দফতরে গিয়েছিলেন। সেই অবসরে বেনুগোপাল তাঁর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের বিষয়ে কথা বলেছেন বলে সূত্রের খবর। আর এক প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপবাবুও দিল্লি গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গেও এআইসিসি নেতৃত্বের কথাবার্তা হয়েছে। সচরাচর প্রদেশ সভাপতি ঠিক করার আগে এত আলোচনা এআইসিসি করে না। এ বার বিধানসভা ভোটের আগে দলের যথাসম্ভব ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরাই তাদের লক্ষ্য। তবে অধীরবাবু, প্রদীপবাবুদের আশা, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রদেশ সভাপতি ঠিক হয়ে যেতে পারে।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের কয়েক জন জেলা সভাপতি প্রদীপবাবুকেই ফের প্রদেশ সভাপতি করার আর্জি জানিয়েছেন এআইসিসি-র কাছে। তাঁদের যুক্তি, প্রদেশ কংগ্রেস পরিচালনার ব্যাপারে প্রদীপবাবু অভিজ্ঞ। বামেদের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া ভাল। আবার প্রয়োজনে রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূলের সঙ্গেও তিনি কথা বলতে পারেন। অধীরবাবু আগেই জানিয়েছেন, নতুন কাউকে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হোক। প্রদেশ কংগ্রেস চালাতে গিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে তাঁর যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে কিছু পদ্ধতি পরিবর্তনের পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। তবে সনিয়া বা রাহুল গাঁধী ফের তাঁকে বাংলায় কংগ্রেসের ভার নিতে বললে তিনি যে ‘দলের সৈনিক’ হিসেবে তা পালন করবেন, সেই কথাও বলে রেখেছেন অধীরবাবু। অন্য দিকে মান্নানের অবস্থান হল, রাজ্যে বিরোধী দলনেতা তথা পরিষদীয় দলনেতার পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রদেশ কংগ্রেসে যেতে রাজি নন। বিধানসভার পদে থেকেই নতুন দায়িত্ব এআইসিসি দিলে তখন অন্য কথা।

দলের এক বর্ষীয়ান নেতার বক্তব্য, ‘‘যিনিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পান, তাঁকে কঠিন কাজই করতে হবে। কিন্তু সভাপতি নির্বাচনে যত দেরি হবে, সাংগঠনিক কর্মসূচি থমকে থাকবে। বামেদের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনেও তার প্রভাব পড়বে। সেটা কাঙ্খিত নয়।’’   

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#gaurav gogoi, #Congress

আরো দেখুন