রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যের জিএসটি জুলাইয়ে বাড়ল ৪০০ কোটি

August 20, 2020 | 2 min read

করোনা আবহে ঝিমিয়ে পড়া রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল করতে লকডাউন পর্ব থেকেই সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছেন। আনলকের প্রথম থেকে কোষাগারের শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তার সুফল মিলেছে দ্রুত। সেকথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) বাবদ আদায়। জুনের তুলনায় রাজ্যের অংশ বাবদ এসজিএসটি এবং আইজিএসটি খাতে গত জুলাই মাসে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব বেড়েছে বাংলার। যে নজির দেখাতে পারেনি কেন্দ্রও। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বিপর্যয় পর্বে মুখ্যমন্ত্রীর নানা সংস্কার নীতির প্রভাব পড়েছে কোষাগারে। রাজ্যের অর্থনীতি যে সঠিক দিশায় রয়েছে, রাজস্ব বাবদ আয় বৃদ্ধি তারই প্রতিফলন।

করোনা পরিস্থিতির জেরে কেন্দ্রের জিএসটি বাবদ আয় গত কয়েকমাস ধরেই কম। জুন মাসে সেই আদায় কিছুটা বেড়ে ৯০ হাজার ৯১৭ কোটি টাকায় দাঁড়ালেও স্বস্তি মেলেনি। কারণ, এক মাসের মধ্যেই সেই আয় ফের নেমে গিয়েছে ৮৭ হাজার ৪২২ কোটি টাকায়। জিএসটি কাউন্সিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে এই কর বাবদ আয় কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। এহেন আর্থিক আবর্তে জিএসটি বাবদ রাজ্যের আয় বৃদ্ধি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থদপ্তরের বক্তব্য, চলতি আগস্ট মাসেও রাজস্ব আদায়ের এই গতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যেতে পারে। আর সেই আশা যে অলীক নয়, তার প্রমাণ প্রতি মুহূর্তে মিলছে রাজ্যের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। একশো দিনের কাজে নানা ক্ষেত্রকে যুুক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়াস। বাজার সচল থাকলে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চাহিদা বাড়বে। এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে পণ্য সরবরাহ। অর্থনীতির এই সাধারণ সূত্রটি মাথায় রেখেই আনলক পর্বে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে রাজ্য।

দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জিএসটি বাবদ সংগৃহীত অর্থের এসজিএসটি এবং আইজিএসটি অংশ হিসেবে রাজ্য কোষাগারে এসেছিল ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। যার মধ্যে এসজিএসটি-র পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। বাকি ৫৩০ কোটি টাকা মিলেছিল আইজিএসটি থেকে। ওই আধিকারিকের কথায়, গত জুলাই মাসে গোটা দেশের নিরিখে এই কর বাবদ বাংলার সংগ্রহ অত্যন্ত ইতিবাচক। এই সময়ে এসজিএসটি এবং আইজিএসটি বাবদ রাজ্যের হাতে এসেছে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটির কিছু বেশি এসেছে এসজিএসটি খাতে। আইজিএসটি থেকে মিলেছে ৮০০ কোটি টাকা।

অর্থদপ্তরের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া সচল হবার ফলেই রাজস্ব আদায়ে আশাব্যঞ্জক অবস্থান এসেছে রাজ্যের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থায় অর্থাৎ লকডাউন পর্বের আগে এসজিএসটি এবং আইজিএসটি বাবদ প্রতি মাসে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা প্রাপ্তি হতো। নানা অর্থনৈতিক সংস্কারের সুফল হিসেবে খুব শীঘ্রই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল বলে মনে করছে নবান্ন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #GST

আরো দেখুন