উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব্যাহত, শিলিগুড়িতে ১৪জন বিএম‌এস সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে

August 24, 2020 | 2 min read

গত কয়েকদিনের আশঙ্কা মতোই ভাঙল ধরল দার্জিলিং জেলায় গেরুয়া শিবিরে। রবিবার দুপুরে সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা বিএমএসের জেলা সভাপতি, একাধিক সহকারি সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষকে মিলিয়ে ১৪ জন দলত্যাগ করলেন। নকশালবাড়ি কমিউনিটি হলে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান পর্বে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, জেলার কো-অর্ডিনেটর, জেলা যুব সভাপতি এবং ব্লকের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দলত্যাগীদের দাবি, জেলায় বিএমএসের দু’হাজারের বেশি সমর্থক এ দিন সংগঠন ছেড়েছেন। এরা তরাইয়ের বিভিন্ন চা বাগানের স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক।

জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেছেন, ‘‘বিজেপি, আরএসএস মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোটের রাজনীতি করছে। মানুষ সেটা বুঝতে পারছে। তাই ওদের সংগঠন ভাঙছে।’’

গত কয়েকদিনের আশঙ্কা মতোই ভাঙল ধরল দার্জিলিং জেলায় গেরুয়া শিবিরে। রবিবার দুপুরে সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা বিএমএসের জেলা সভাপতি, একাধিক সহকারি সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষকে মিলিয়ে ১৪ জন দলত্যাগ করলেন। নকশালবাড়ি কমিউনিটি হলে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান পর্বে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, জেলার কো-অর্ডিনেটর, জেলা যুব সভাপতি এবং ব্লকের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দলত্যাগীদের দাবি, জেলায় বিএমএসের দু’হাজারের বেশি সমর্থক এ দিন সংগঠন ছেড়েছেন। এরা তরাইয়ের বিভিন্ন চা বাগানের স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক।

জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেছেন, ‘‘বিজেপি, আরএসএস মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোটের রাজনীতি করছে। মানুষ সেটা বুঝতে পারছে। তাই ওদের সংগঠন ভাঙছে।’’

বিএমএসের জেলা সভাপতি নির্জল দে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে ছিলেন। তিনি দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলার কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। চা বাগানের শ্রমিক সংগঠনটির দেখভাল করতেন। এ দিন দলত্যাগীদের মধ্যে এনজেপি এলাকার এক শ্রমিক নেতাও আছেন। বাকিরা চা বাগান, সরকারি দফতর, বিভিন্ন সংস্থা, কারখানায় শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেছেন। গত লোকসভা ভোটের আগে থেকে দলের একাংশের সঙ্গে এদের দূরত্ব তৈরি হয়। বিশেষ করে নকশালবাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে ঘিরে ব্লক, জেলার নেতাদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের চাপানউতোর চলে। তখন থেকেই নির্জলরা দল থেকে সরে যান বলে সূত্রের খবর।

একই সময় রাজু বিস্তাকে প্রার্থী করে বিজেপি ময়দানে নামে। বিএমএসের উপর তরাই এলাকার চা বাগানের ভোটব্যাঙ্ক দেখভালের দায়িত্ব বর্তায়। নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ির মত শহর এলাকার সঙ্গে গেরুয়া শিবির বাগানেও শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করে। তৃণমূলের এই বিক্ষুব্ধদের তাঁরা পাশে নিয়ে কাজ শুরু করে দেন।

লোকসভা ভোটে একাধিক বাগানে বিজেপি ভাল ফল করে। কিন্তু সূত্রের খবর, গত এক বছরে বিএমএসের মধ্যে নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। উপর মহলের নেতৃত্ব আলাদা কমিটি গড়ে ময়দানে নামলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি। ইতিমধ্যেই পিকের টিম এই নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দেন। দফায় দফায় পিকের টিমের সঙ্গে বৈঠকের পর এই দলবদল চূড়ান্ত হয়। এ দিন নকশালবাড়ি কমিউনিটি হল চা শ্রমিকদের ভিড়ে ঠাসা ছিল। নির্জল দে বলেন, ‘‘পুরনো ঘরে ফিরে ভালই লাগছে। কিছু বিভ্রান্ত বা সংশয় থেকে দূরে গিয়েছিলাম। সব এখন অতীত।’’ বিএমএসের তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, ওই ১৪ জনকে সংগঠন বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিস্কার করা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #tmc, #siliguri, #Bms

আরো দেখুন