রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাজারে আলুর দাম কমাতে সক্রিয় রাজ্য সরকার

August 29, 2020 | 2 min read

বাজারে আলুর দাম কমাতে সক্রিয় হল রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্নে আলুর বর্ধিত দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হিমঘর থেকে বের হওয়া জ্যোতি আলুর দাম কেজিতে ২২ টাকা রাখতে হবে। তা না হলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। সরকারের এই কড়া মনোভাব ব্যক্ত করায় দাম কমানোর জন্য আলু ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা দিন সাতেক সময় চেয়েছেন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে যদি দাম না কমে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার হিমঘর থেকে বের হওয়া জ্যোতি আলুর দাম প্রতি কেজিতে ছিল ২৬-২৭ টাকা। গত কয়েকদিনে এই দাম কেজি প্রতি দু’-তিন টাকা বেড়েছে। এর প্রভাবে খুচরো বাজারে দাম আরও বেড়েছে। জ্যোতি আলু ৩২ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কলকাতার অধিকাংশ অধিকাংশ বাজারে।

রাজ্য সরকার চাইছে, খুচরো বাজারে আলুর দাম ২৫ টাকায় নেমে আসুক। এই দামে বিক্রি করতে হলে হিমঘর থেকে বের হওয়া আলুর দাম নিশ্চিতভাবেই ২২ টাকার মধ্যে রাখতে হবে। কলকাতা ও অন্যত্র পাইকারি বাজারে তখন জ্যোতি আলু মিলবে ২৩ টাকায়। একমাত্র তাহলেই খুচরো বাজারে ২৫ টাকায় নেমে আসবে আলুর দাম। খুচরো বাজারে সঠিক দাম নেওয়া হচ্ছে কি না, তা নজরদারি করবে পুলিসের এনফোর্সমেন্ট শাখা।

সুফল বাংলার স্থায়ী ও অস্থায়ী স্টলগুলিতে ২৫ টাকা কেজি দরে বেশ কিছুদিন ধরেই আলু বিক্রি হচ্ছে। সুফল বাংলার জন্য ২৩ টাকা কেজি দরে সিঙ্গুরের কিষাণ বাজারে আলু সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিন নবান্নের এই বৈঠকে কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, কৃষি বিপণন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুনীল গুপ্তা, পুলিসের এনফোর্সমেন্ট শাখার ডিজি গঙ্গেশ্বর সিং উপস্থিত ছিলেন। আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায়, হিমঘর মালিকদের রাজ্য সংগঠনের প্রতিনিধি পতিতপাবন দে, সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে প্রমুখ অংশ নিয়েছিলেন বৈঠকে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রথম থেকেই সরকারের মনোভাব ছিল বেশ কড়া। ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের কোনও দর কষাকষির সুযোগ না দিয়ে সরকার পক্ষ প্রথমেই জানিয়ে দেয়, হিমঘর থেকে বের হওয়া আলুর দাম ২২ টাকায় নামিয়ে আনতেই হবে। এব্যাপারে কোনও আপত্তি শোনা হবে না। উৎপাদন খরচ, হিমঘরে রাখার খরচ, লোডিং-আনলোডিংয়ের খরচ সবই বিস্তারিতভাবে পেশ করা হয়। হিসেব দিয়ে জানানো হয়, ২২ টাকা কেজি দরে হিমঘর থেকে আলু বেরলেও ভালো লাভ থাকবে মালিকদের। চাষিরাও এতে লাভবান হবেন।

আলুর দাম বাড়লে অনেকেই বলেন, এতে চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন। তাঁরা বেশি দাম পাচ্ছেন। বাস্তবে তা হচ্ছে না। হিমঘরে রাখা আলুর বড় অংশই নিয়ন্ত্রণ করছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষি বিপণন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চাষিদের নামে বন্ড কিনে ব্যবসায়ীরা হিমঘরে আলু রাখেন। এবার ১২-১৩ টাকা কেজি দরে কেনা আলু হিমঘরে ঢুকেছে। হিমঘরের ভাড়া ও অন্যান্য খরচ পড়ে প্রায় পাঁচ টাকা। সেই হিসেবে ২২ টাকার বেশি দরে আলু বেচতে পারবেন না হিমঘর মালিকরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#State Government, #market Price increased, #Potato

আরো দেখুন