রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অনেকের শরীরেই দেখা গেল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত আগস্টে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। শোনা গিয়েছিল চূড়ান্ত স্তরে রয়েছে ট্রায়াল। গোটা বিশ্বের কৌতূহল ছিল সেদিকে। কিন্তু শুক্রবার জানা গেল ট্রায়ালের সময় প্রতি সাত জনের মধ্যে এক জনের শরীরে দেখা গিয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো একথা জানিয়েছেন।
তিনি সেদেশের টিএএসএস নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, ঘোষিত ৪০ হাজার ভলান্টিয়ারের মধ্যে ৩০০ জনের শরীরে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে ভ্যাকসিন গ্রহণের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পেশিতে ব্যথা ও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তবে এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যে প্রত্যাশিত সেকথাও বলেন তিনি।
২১ দিনের মধ্যে ওই ভলান্টিয়ারদের শরীরে দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গত মাসেই স্পুটনিক ফাইভ-কে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল রাশিয়ান সরকার। কিন্তু এখনও এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালের বড় অংশ বাকি রয়েছে। এমাসের গোড়ায় ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
গত বুধবারই জানা গিয়েছিল, রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ভারতে আসতে পারে এবছরই। এবিষয়ে ভারতের অন্যতম ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ডা. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরির সঙ্গে কথা হয়েছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা আরডিআইএফ-এর। সম্ভবত বছরের শেষেই ভারতে আসবে ওই ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ। বুধবারই আরডিআইএফ-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। বছরের শেষ থেকেই এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হবে।
করোনা চিকিৎসায় যে সব ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের বিষয়ে লক্ষ্য রাখছে ভারত, রাশিয়া তাদের অন্যতম। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. বলরাম ভার্গভ এর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, একটি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কমিটি রাশিয়ার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সম্পর্কে সেদেশ থেকে আসা তথ্যের দিকে নজর রেখেছে।