দেশ বিভাগে ফিরে যান

চলতি অর্থবর্ষে দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

October 6, 2020 | 2 min read

সরকারের ‘ভ্রান্ত নীতি’ আর করোনার মার। দুইয়ের প্রভাবে দেশে বিনিয়োগের বাজারে বেনজির মন্দা। গত ১৬ বছরের মধ্যে এবছরই সর্বনিম্ন হতে চলেছে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ। এমনটাই দাবি করেছে দেশের অর্থনীতির (Economy) থিংক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি(CMIE)। তাঁদের দাবি, চলতি অর্থবর্ষে এখনও অবধি যে পরিমাণ বিনিয়োগ (Investment) এসেছে, তাতে এ বছর মোট প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ ট্রিলিয়ন টাকার (Rupee) নিচেই থাকবে। যা কিনা ২০০৪-০৫ অর্থবর্ষের পর একেবারে সর্বনিম্ন।

CMIE‘র তথ্য বলছে, লকডাউনের আগে আগে প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ কোটির নতুন বিনিয়োগের প্রস্তাব আসছিল। অর্থনীতির অবস্থা ভাল হলে, এই পরিমাণটা এর দ্বিগুণ হয়। লকডাউনের পর তা আরও অনেকটা কমেছে। গত ত্রৈমাসিকে সরকারি বিনিয়োগের প্রস্তাব ছিল মাত্র ২৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকার। আর বেসরকারি বিনিয়োগের প্রস্তাব ছিল মাত্র ৩২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। যা কিনা ২০০৪ সালের জুন মাসের অর্থাৎ বাজপেয়ী সরকারের শেষ বছরের পর সর্বনিম্ন। CMIE’র ধারণা, চলতি অর্থবছরে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে দেশে মোট বিনিয়োগের প্রস্তাব আসতে পারে ১.৩ ট্রিলিয়ন টাকার। ২০০৪-০৫ অর্থবর্ষের পর এই সংখ্যাটা কোনওদিন ৫ ট্রিলিয়নের নিচে নামেনি। বিনিয়োগের এই ব্যাপক ঘাটতি দেশের কাজের বাজারকে আরও সঙ্কুচিত করবে। যা অর্থনীতির জন্য বড়সড় বিপদ বয়ে আনতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত কয়েকবছর ধরেই দাবি করছিলেন, তাঁর আমলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ আগের থেকে অনেক বেশি অনুকুল হয়েছে। বস্তুত ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ ক্রমতালিকাতেও উন্নতি হয়েছে ভারতের। কিন্ত্যু সেসবই খাতায় কলমে। বাস্তবের মাটিতে দেখা যাচ্ছে, দেশে স্থায়ী সরকার থাকা সত্বেও গত কয়েকবছরে লাগাতার কমছে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ। এবছর করোনার প্রভাবে তা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। আসলে, করোনা ভারতে প্রকোপ দেখানোর আগেও অর্থনীতি খুব একটা ভাল জায়গায় ছিল না। করোনার প্রভাবে একপ্রকার কোমরই ভেঙে গিয়েছে অর্থনীতির। যার ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলি বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছে। আর সেটা দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে সমূহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, বিনিয়োগ কমার অর্থ কাজের সুযোগ এবং উৎপাদন দুটোই কমা। যার সহজ অর্থ হল, বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19, #Economy, #CMIE

আরো দেখুন