দেশ বিভাগে ফিরে যান

হাথরাসের সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে যোগী সরকারকে নোটিশ ধরাল সুপ্রিম কোর্ট

October 6, 2020 | 2 min read

হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে যোগী সরকারকে নোটিশ ধরাল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, তরুণীর পরিবার এবং এই মামলায় সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এও জানতে চাইল, যে ওই তরুণীর পরিবারের জন্য কোনও আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে কিনা!

হাথরস মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের কোনও নিরাপত্তা নেই বলে অনেকেই অভিযোগ তুলছিল। ‌পিটিশনও জমা পড়েছিল। পিটিশন দায়ের করেছেন সমাজকর্মী সত্যমা দুবে এবং অন্যরা। তারা নির্যাতনের মামলায় সিবিআই বা বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বাধীন তদন্তের দাবি করেছেন। পিটিশনে গোটা ঘটনায় ‘‌স্বচ্ছ’‌ তদন্তের দাবি করেছেন সত্যমারা। এদিকে এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, কেন এই আবেদন এলাহাবাদ হাইকোর্টে জমা করা হল না? তাতে আবেদনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই নিয়ে যে মামলা চলছে, তা সেখান থেকে সরাতে চান তারা। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে জানালেন, ‘এলাহাবাদ হাইকোর্টে শুনানি চলছে। আমরা ওদের রায় শুনতে চাই। ওরা কোনও ভুল করলে আমরা আছি।’‌ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তেরও আশ্বাস দিয়েছেন বোবদে।

হাথরস গণধর্ষণ-খুন কাণ্ডে চাপে পড়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু আন্দোলনকারী বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য, সেটাই যথেষ্ট নয়। সিবিআই তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতির নজরদারিতে। অন্য দিকে জাতি হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মোট ১৯টি এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই সব প্রতিবাদ-বিক্ষোভকারীদের অর্থসংস্থানের উৎস খুঁজতে তদন্তে নামছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পাল্টা উত্তরপ্রদেশের পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও এফআইআর দায়েরের আর্জিতে অন্য একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে হাথরসের দলিত মহিলার মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। উত্তরপ্রদেশেও বহু জায়গায় আন্দোলনে নেমেছেন দলিত সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। কিন্তু সেই প্রতিবাদ স্বতঃস্ফূর্ত নয়, পরিকল্পিত বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও বলেছেন, এই আন্দোলনের পিছনে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ জড়িত। এই সব অভিযোগেই মোট ১৯টি এফআইআর দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার মধ্যে ছ’টি হাথরসে এবং বাকি ১৩টি অন্যান্য জেলায়। এই সব মামলায় ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে জাতি হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Uttar Pradesh, #supreme court, #Hathras Gang Rape

আরো দেখুন