অফিস টাইমে হাওড়া ও শিয়ালদহে ২০০ লোকাল ট্রেন, সিদ্ধান্ত রেল-রাজ্য বৈঠকে
কালীপুজোর (Kali Puja 2020) আগেই রাজ্যে লোকাল ট্রেন (Local Train) পরিষেবা চালু হচ্ছে। তার আগেই করোনা পরিস্থিতিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করতে আজ ফের বৈঠক করলো রেল ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন পূর্ব রেলের এজিএম। বৈঠকে ছিলেন হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়গপুরের ডিআরএম’রাও। সূত্রের খবর, রেলের কাছে রাজ্য সরকার আবেদন করেছে অফিস টাইমে ২০০-র বেশি ট্রেন চালানো হোক।
রাজ্যের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে রেল। তবে অফিস টাইম ছাড়া কত সংখ্যক ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে রেলকেই। এই রেল চালানো ঘিরেই প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা। সেই মোতাবেক কাজ শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। রেল সূত্রে খবর, হাওড়া (Howrah) ও শিয়ালদহ (Sealdah) নিয়ে ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা নেই। স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে স্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর ব্যাপারে ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা আছে। কিন্তু বিধাননগর, দমদম, ব্যারাকপুর, সোদপুর, বারাসত, নৈহাটি, বালি, রিষড়া, শ্রীরামপুর ও চন্দননগরের মতো শহরতলির স্টেশনগুলো থেকে যত সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করে, তা নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ উভয় পক্ষের কাছে।
রেল সূত্রে খবর, কোনও সময়ে স্টেশনে যদি ৬০০-র বেশি যাত্রী থাকে তাহলে সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব কার ওপর থাকবে? যত সংখ্যক আরপিএফ (RPF) রয়েছে, তাঁদের দিয়ে এতোগুলো স্টেশনে কোভিড প্রোটোকল মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখা সম্ভব নয়। তাই, রেল দাবি করেছে যথাযত জিআরপি ও রাজ্য পুলিশ দিতে হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই। হিসেবে দেখা হচ্ছে এখন কোন স্টেশন থেকে কত সংখ্যক যাত্রী আসছেন? দিনের কোন সময়ে কত যাত্রী হচ্ছে? এর হিসেবের ওপর নির্ভর করবে রেল কীভাবে চলবে।