বিডেনের জয়ের পর এবার লোকসভা ভোটে মোদিকে হারাতে একজোট বিরোধীরা
জনপ্রিয়তা নয়, গণতন্ত্রই শেষ কথা। আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের (Joe Biden) জয়কে এভাবেই দেখছে কংগ্রেস সহ অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘মাই ফ্রেন্ড’ ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ফলে উৎসাহিত হয়ে মোদিকেও হারানো সম্ভব বলে মনে করছে তারা। নির্বাচিত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভারতীয় যোগ নিয়েও যারপরনাই উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস। মার্কিন ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্টের সাফল্যকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছেন বেশিরভাগ ভারতীয়। বিডেন এবং কমলাকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। জো বিডেন আমেরিকাকে ঐক্যবদ্ধ করবেন বলে শুভেচ্ছা মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
কমলা হ্যারিসকে (Kamala Harris) ‘ভারত কি বেটি’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁকে আগামীর সম্ভাব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অন্যদিকে ট্রাম্পের হারে প্রয়াত জওহরলাল নেহরুর ‘অজান্তে অবদান’ রয়েছে বলে ট্যুইট করেন প্রাক্তন বিজেপি এমপি তথা বর্তমান কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বলেছেন, নেহরুজির যুগ্মসচিব পি ভি গোপালন যদি তাঁর কন্যা শ্যামলাকে বার্কেলেতে না পড়তে পাঠাতেন, তাহলে আমেরিকানকে বিয়ে করে আর কমলার জন্ম হত না। মোদিজির স্লোগান ‘আব কি বার, ট্রাম্প সরকার’ও ব্যর্থ হতো না। কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী দলে কাজ করেছেন শত্রুঘ্ন সিংহার ভাইঝি প্রীতি সিনহা। ৭৭ বছর বয়সেও বিডেনের জয়ের সঙ্গে এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের তুলনা টেনে তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলে বলেন, ‘আদর্শে অবিচল থাকলে জয় নিশ্চিত।’
বিডেন-হ্যারিস জুটি জিততেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার ঝড় বইছে। আর সেই সুযোগে আগামী দিনে ট্রাম্পের হারকে মোদির পরাজয় হিসেবেই তুলে ধরতে চাইছে বিরোধীরা। ২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের অন্যতম স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রয়াত রাজীব গান্ধীর বন্ধু স্যাম পিত্রোদা বলেন, ‘আশা করি, আমেরিকার নির্বাচনের প্রভাব অন্য দেশেও পড়বে।’ মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা তথা রাহুল ব্রিগেডের সদস্য মিলিন্দ দেওরার মন্তব্য, মেরুকরণ রুখতে পেরেছেন বিডেন। শশী থারুরের ট্যুইট, ‘আমেরিকা জানিয়ে দিল, ট্রাম্প আপনাকে বরখাস্ত করা হল!’ কটাক্ষের বার্তায় তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র ছোট্ট প্রশ্নে বোঝাতে চেয়েছেন মোদির পছন্দের প্রার্থীকেও হারানো যায়। তাঁর ট্যুইট, ‘হাউডি?’
ট্রাম্পের এই হারে মোদির মুখ পুড়ল বলেই মন্তব্য করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অশোক গেহলট। তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী আগেই আমেরিকার ঘরোয়া নির্বাচনে মোদিজিকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি শোনেনি। আজ মুখ পুড়ল তো?’