বিহারে ভোট কারচুপি? মদত খোদ কমিশনের? উঠছে প্রশ্ন
বুথ ফেরত সমীক্ষা (Exit Poll) জানিয়েছিল বিহারে (Bihar) আসছে পরিবর্তন। গতকাল সকাল পর্যন্ত সেই হাওয়াই চলেছে। কিন্তু, ভোট গণনার সময় যত গড়িয়েছে, ততই দেখা গেছে এনডিএর (NDA) প্রত্যাবর্তন। ভেঙে গেছে তেজস্বী যাদবের (Tejaswi Jadav) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হওয়ার স্বপ্ন।
সন্ধ্যের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যায় বিহারে থাকছে নীতিশ কুমারই (Nitish Kumar)। এরপর রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) ট্যুইট করে বলে এখানে ১১৯টি আসনের তালিকা আমরা দিচ্ছি যেখানে গণনার শেষে জানা যায় মহাজোটের (UPA) প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের (ECI) ওয়েবসাইটেও এই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়। রিটার্নিং অফিসার (Returning Officer) জয়ীদের অভিবাদন জানান। এখন শংসাপত্র চাইতে গেলে সেই অফিসাররাই তাঁদের বলছেন তোমরা হেরে গেছো। গণতন্ত্রে (Democracy) এরকম ভোট লুট (Vote Loot), জনমতের হত্যা মানা যায় না।
তারা আরও বলে ১১৯টা আসন জয়ের পর টেলিভিশনের পর্দায় সেটি ১০৯ দেখানো হচ্ছে। নীতিশ কুমার সমস্ত আধিকারিকদের ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছেন। জেতার জন্য অভিবাদন জানানো আধিকারিকরা এখন বলছেন আপনারা হেরে গেছেন।
জনৈক আরটিআই (RTI) কর্মী জানায় এখন এটা দিনের আলোর মত স্পষ্ট যে নির্বাচন কমিশন ভোট লুটের মত অপরাধ করছে এবং মদত দিচ্ছে। এই ঘটনা এবারই প্রথম না। এই বিষয়ে এখনই প্রশ্ন না করলে, এখনই এই প্রবণতার বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে এটাই আগামী দিনের জন্য নিয়ম হয়ে উঠবে।