লোকশিল্পীরা অনুষ্ঠানের ডাক পাননি পুজোর মরশুমে, ভরসা সরকারি ভাতা
রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ক্লাব বা পুজো উদ্যোক্তারাও বিসর্জনের শোভাযাত্রা করেননি। করোনা আবহে (Coronavirus) দুর্গাপুজোর কার্নিভাল (Durga Puja Carnival) এ বছর বাতিল হয়েছে। অন্যান্য জেলার মতো আরামবাগ মহকুমার লোকশিল্পীরাও তাই পুজো মরশুমে অনুষ্ঠানের ডাক পাননি। শীতের মরশুমে বিভিন্ন মেলা উদ্যোক্তারা এ বছর মেলা করা নিয়েও দোটানায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আরামবাগ মহকুমার দু’হাজার লোকশিল্পীর ভরসা কেবলমাত্র সরকারি ভাতা। মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক রাজেশকুমার মণ্ডল বলেন, মহকুমায় ২০৯৩ জন লোকশিল্পী মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। ওই ভাতা চালু রাখার জন্য প্রতি বছর নভেম্বর মাসের মধ্যে শিল্পীদের দপ্তরে এসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। এখন সেই কাজই চলছে।
রাজ্য সরকারের (State Government) লোক প্রসার প্রকল্পের হাত ধরে একটু একটু করে তাঁরা বর্তমানে অনেকটাই শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, আগে কেউ আমাদের জন্য ভাবেননি। কিন্তু, বর্তমানে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছি। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানেও সুযোগ পাই। একজন শিল্পীর কাছে শিল্পীসত্তার স্বীকৃতির থেকে বড় আর কী বা হতে পারে! প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্পটি চালু হয়। প্রতিটি জেলাতেই সরকারি স্বীকৃতি পেতে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরে হাজার হাজার শিল্পী আবেদন জমা করেন। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় জেলাশাসককে প্রকল্পের সর্বোচ্চ আধিকারিক করে শিল্পী বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আবেদনকারী শিল্পীদের দক্ষতার পরীক্ষা নিয়ে শিল্পী পরিচয়পত্রের আবেদনে সিলমোহর দেন।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের জন্য মূলত দু’টি ভাগে প্রকল্পটিকে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, বহাল ভাতা প্রাপক। দ্বিতীয়ত, অবসরকালীন ভাতা প্রাপক। ৬০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া শিল্পীরা সরকারিভাবে অনুষ্ঠানের ডাক পাবেন না। কিন্তু, তাঁদের জন্য প্রতি মাসে ওই ভাতা চালু থাকবে। ৬০ বছর বয়সের নীচে থাকা শিল্পীরা বহাল ভাতা পাচ্ছেন।