জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

দাম্পত্য জীবনে সুখ চান? রইল টিপস

November 21, 2020 | 2 min read

সুখী দাম্পত্য জীবন সকলেই চায়। কিন্তু চাইলেই তো আর জীবনে সুখ পাওয়া যায় না। সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে গেলে তার কতগুলি শর্ত মেনে চলতে হয়। এই শর্তগুলি মানলেই জীবন হয়ে ওঠে আনন্দময়। এক সংসারে থাকতে গেলে হাতা আর খুন্তির মধ্যে কিছু ঠোকা ঠুকি তো লাগবেই। কিন্তু তা বলে একসঙ্গে থাকব না বললে কীভাবে চলবে! তাহলে চট জলদি নিচের শর্তগুলিতে চোখ বুলিয়েই ভাবুন কীভাবে সুখী রাখবে আপনার দাম্পত্য জীবনকে…

রাগকে সঙ্গে করে বিছানায় যাবেন না

মাথা গরম তো সকলেরই হয়। কিন্তু তা বলে এক মুখ রাগ নিয়ে বিছানায় গেলে কখনওই দাম্পত্য আর সুখীর আখ্যা পাবে না। তাই বিছানায় যাওয়ার আগেই নিজের রাগকে থিতু করে তবেই বিছানায় যান।

একে অপরকে চিনুন

বিয়ের ক্ষেত্রে একে ওপরকে চেনাটা খুবই জরুরি। মতানৈক্য হতেই পারে। দুজন আলাদা মানুষ, তাদের আলাদা চিন্তা ভাবনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জেরে যদি বাড়িতে কাক আর চিল বসতে না পারে তাহলে কিছুই করার নেই। তাই এক অপরের কথা শুনুন এবং পরে মাথা ঠান্ডা হলে অপরকে বুঝিয়ে বলুন, দেখবেন ঝামেলা মিটে যাবে।

ক্ষমা করতে শিখুন

ভুল মানুষ মাত্রই হয়ে থাকে। তবে সেই ভুলটাকে ধরে বসে থাকবেন না। মাথা ঠান্ডা করে স্বামী অথবা স্ত্রীকে ভুলটা ধরিয়ে দিন। তারপর তাকে ক্ষমা করে দিন। ক্ষমা করার ওপরে কোনও কথাই থাকতে পারে না। ক্ষমা করার পর এই ভুল নিয়ে আর কখনওই কোনও কথা বলবেন না। ভুলের কথা সম্পূর্ণভাবে ভুলে যান।

চুপ করে থাকতে শিখুন

চুপ করে থাকা একটা বড় কাজ। বিবাহিত জীবনে মাঝে মধ্যে চুপ করে থাকলে কিছুই যায় আসে না। তাই একজন বেশি কথা বললে নিজে একটু চুপ করে থেকেই দেখুন না কি হয়!

সদা আনন্দে থাকুন

নিজের বাবা-মাকে এতো দিন রাগ দেখিয়েছেন বলেই যে বউ অথবা স্বামীর ওপরেও রাগ দেখাবেন সব সময় তা কখনওই নয়। ঝগড়া করার সময় ঝগড়া করার পর মিটিয়ে নিয়ে, বেশিরভাগ সময়ই মুখে একটা প্লাস্টিক হাসি লাগিয়ে রাখুন দেখবেন দাম্পত্য জীবনের চাকা গড়গড়িয়ে ঘুরবে।

ছেলেরা বউয়ের নিয়ম মেনে চলুন

বিয়ের আগে মায়ের বারণ শোনেননি বলে যে বিয়ের পরে বউয়ের বারণকেও চোখ রাঙাবেন তা কখনওই চলবে না। সদা বাড়িতে বউয়ের বারণ শুনে চলবেন। ধরুন আপনার স্ত্রী ঘর গুছিয়ে রাখার বাতিক আছে। কিন্তু আপনি ঘর গোছানো থাকলে কোনও জিনিস ঠিক ঠাক খুঁজে পাননা। কিন্তু কি আর করবেন তাঁর মতে কদিন চলেই দেখুন না। আস্তে আস্তে স্বভাব পরিবর্তন হয়ে যাবে আপনারও।

অফিসের কাজ কখনওই বাড়িতে নয়

অফিসের কাজ কখনওই বাড়িতে করবেন না। অফিসের যাবতীয় চিন্তা ভাবনা এবং ফেলে আসবেন অফিসের মধ্যেই। তাকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে এসে নিজের কাছের মানুষদের ওপর রোজ ওই রাগ দেখালে আর দাম্পত্য জীবন টিঁকবে না।

সব সময় বন্ধুত্ব রাখুন

বিয়ে করেই টিপিক্যাল স্বামী-স্ত্রীতে পরিণত হয়ে যাবেন না। দেখবেন দুজনের মধ্যে যেন বন্ধুত্বটি বর্তমান থাকে। বন্ধুত্ব থাকলেই আর কোনও অসুবিধা হবে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন