দেশ বিভাগে ফিরে যান

ভোটের টান, মোদীর বঙ্গ মনিষী স্মরণ

November 26, 2020 | 2 min read

কংগ্রেসের নাম করেননি। উচ্চারণ করেননি গাঁধী পরিবারের কথা। কিন্তু লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্‌যাপনের ভিডিয়ো-অনুষ্ঠানেও বিরোধীদের বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ ইতিহাস স্মরণ করতে গিয়ে তুললেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ।

অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, “এই সেই ক্যাম্পাস, যেখানে ভারতের মানুষকেই তাঁদের নিজেদের সংবিধান তৈরির অধিকার দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।” টেনে এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত গ্রন্থাগারের প্রসঙ্গও। রসিকতার ছলে অনেকে বলছেন, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত বাংলার মনীষী স্মরণের সুযোগ প্রধানমন্ত্রী হাতছাড়া করবেন না।

স্বার্থহীন উদ্দেশ্য আর প্রবল ইচ্ছাশক্তি কতখানি ফারাক গড়ে দিতে পারে, বুধবার পড়ুয়াদের  তা বোঝাতে গিয়ে এ দিন রায়বরেলীর রেল কামরার কারখানার প্রসঙ্গ টেনেছেন প্রধানমন্ত্রী। কার্যত নাম না-করে বিঁধেছেন সনিায় গাঁধী ও গাঁধী পরিবারকে। বলেছেন, “এই কারখানার শিলান্যাস হয়েছিল অনেক আগে। শুরু হয়েছিল কাজ। মজুত ছিল ভাল যন্ত্রপাতি। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাতে গোনা কামরা তৈরি হত এখানে। কাজ হত মূলত অন্য জায়গায় তৈরি কামরা এনে রং করা, ঠিকঠাক করা ইত্যাদির। অথচ ২০১৪ সালে কেন্দ্রে সরকার বদলের পরে সেই কারখানাতেই তৈরি হচ্ছে উন্নত মানের প্রচুর কামরা।” 

২০০৪ সাল থেকে রায়বরেলী লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সনিয়া গাঁধী (Soniya Gandhi)। বরাবর এই কেন্দ্র কংগ্রেস, বিশেষত গাঁধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি। ২০০৭ সালে রেলের কামরা তৈরির এই কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন সনিয়া। কিন্তু ২০০৮ সালে তার জমি আটকে দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। এলাহাবাদ হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে কারখানার কাজ ফের শুরু হলে, পরে তার উদ্বোধন করেন সনিয়াই। কিন্তু তার পরেও শুরুর দিকে সেখানে তৈরি কামরার সংখ্যা একেবারে কম ছিল বলে দাবি করেছেন মোদী। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আক্রমণের নিশানা সনিয়া তথা গাঁধী পরিবারই। ঠিক যে ভাবে গাঁধী পরিবারের সদস্যরা বছরের পর বছর সাংসদ থাকা সত্ত্বেও অমেঠীর উন্নয়ন না-হওয়ার কথা ফলাও প্রচার করত বিজেপি (BJP)।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Icons, #Narendra Modi

আরো দেখুন