শীতে হাতের যত্ন নিতে ভুলবেন না
বছরের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে শীতে ত্বকের যত্ন বেশি প্রয়োজন। হাতের ত্বক পাতলা হওয়ায় একটু অযত্নেই ত্বক ফাটা, কুঁচকে যাওয়া বা বিবর্ণ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে থাকে। এ ছাড়া শীতে হাতের গঠন সুন্দর রাখতে কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
সপ্তাহে দুবার মরা চামড়া দূর করতে স্নানের আগে দুধরনের স্ক্রাব ও প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
স্ক্রাব তৈরি
৩ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো, ২ চা-চামচ গ্লিসারিন, ডিমের কুসুম ২টি দিয়ে তৈরি করা স্ক্রাব এক দিন ও অর্ধেক কাপ চিনি ও সমপরিমাণ কফি, ২ চা-চামচ লেবুর খোসা গুঁড়ো, এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল দিয়ে তৈরি স্ক্রাবটি অন্যদিন ব্যবহার করতে পারেন। হাতের কালচে রং দূর করতে সপ্তাহে এক দিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।
প্যাক
অর্ধেক কাপ মটর ডাল বা মসুরির ডালের বেসন ২ চা-চামচ, ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনিগার, ১টি ডিমের সাদা অংশ। হাত ও আঙুলের গঠন সুন্দর রাখতে একটি দড়ি উঁচু কিছুতে বেঁধে নিন। দড়িটি হাত দিয়ে একবার ওপরে টানুন ও একবার নীচে নামান। এটি হাতের জন্য ভালো ব্যায়াম।
হাতের আঙুল সুন্দর রাখতে নরম বল হাতে নিয়ে একবার চেপে ধরবেন ও ছেড়ে দেবেন। এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে আঙুল মেদহীন ও সুন্দর থাকবে।
রান্নাঘরের কাজ শেষে তোয়ালে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই হাতটা আলতো করে মুছে ফেলুন। শীতে কনুই রুক্ষ হলে গ্লিসারিন ও ডালবাটা দিয়ে হাল্কা মালিশ করে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। শীতে বাইরে যাওয়ার সময় দু হাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মোলায়েম ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত স্ক্রাব ও মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রতিদিন গোসলের আগে হাতে জলপাই তেল ব্যবহার করুন।
যাঁদের হাতের চামড়া অত্যধিক রুক্ষ, তাঁরা ক্ষারযুক্ত সাবান এড়িয়ে চলুন এবং ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। হাতের হাড়ের সন্ধিস্থানে কালো দাগ থাকলে সাবান দেওয়া যাবে না। কালো দাগযুক্ত স্থানে লেবুর রস ও মধু লাগান। চামড়া বেশি ফাটলে তিলের তেল ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শুষ্ক হাত-পায়ে কাঠবাদামের প্যাক লাগাতে পারেন।