কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

এক হোয়াটসঅ্যাপেই এবার আপনার ঘরে কোপ্তা-কাবাব

December 3, 2020 | 2 min read

সপ্তাহান্তে হেঁশেল ঠেলতে ইচ্ছে না-হলে কোপ্তা-কাবাব নিয়ে প্রদীপের দৈত্যের মতো হাজির হবে পঞ্চায়েত দপ্তর। শুধু একটা হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। নিউ ইয়র্কে বসে অর্ডার দিলেও পৌঁছে যাবে নোনাপুকুরে। সপ্তাহের শেষ তিন দিন তারা রান্না করা খাবার নিয়ে হাজির হবে বাড়ির দুয়ারে।

কী নেই সেখানে? মুরগি বা খাসির মাংসের জিভে জল আনা পদ তো থাকছেই, চাইলে শীতের রাতে হাঁসের মাংস থেকে কাঁকড়ার মনকাড়া পদও পাওয়া যেতে পারে। থাকছে কোপ্তা, কালিয়া, কোর্মা, কাবাব এমনকী নানা ধরনের স্যুপও। গুণমানে উন্নত এবং সাধ্যের মধ্যে দাম, এই স্লোগানে সপ্তাহান্তের নৈশভোজ জমানোর ডাক দিচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর।

পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনস্থ সিএডিসি-এর ওয়েবসাইট ও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত আবেদন করে পাওয়া যাবে ওই পরিষেবা। কলকাতার একটি বড় অংশের মানুষের কাছে ওই পরিষেবা দিতে শুরু করেছে সুসংহত এলাকা উন্নয়ন নিগম (সিএডিসি)। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, থালির দাম শুরু হচ্ছে দেড়শো টাকা থেকে। বিশেষ পদের জন্য আলাদা দাম। মূলত, বয়স্ক মানুষদের জন্য এই সপ্তাহ শেষের খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহের জনপ্রিয়তা দেখে ইতিমধ্যে তা সর্বসাধারণের জন্য চালু করে দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘সপ্তাহের শেষটা অনেকেই ছুটির মেজাজে কাটাতে চান। তখন রেস্তরাঁয় রাতের বা দুপুরের খাবার খাওয়ার একটি প্রবণতাও দেখা যায়। আমরা সেই সব মানুষের কাছেই পছন্দের খাবার পৌঁছে দিতে চাইছি।’ পাশাপাশি, একা থাকা বয়স্ক দম্পতিদের জন্য এই পরিষেবা বিশেষ কার্যকরী হবে।’ তিনি জানান, বিশুদ্ধ বাঙালি খানা থেকে কাবাব, পরিচিত থেকে অপরিচিত মাংসের স্বাদ গ্রাহকেরা বাড়িতে বসে পাবেন। নিজস্ব খামারে তৈরি জিনিস দিয়ে সমস্ত খাবার তৈরি করা হচ্ছে। পুষ্টিগুণেও কম কিছু নেই। পরিকল্পনার মার্কেটিং কো-অর্ডিনেটর স্বাগতা রায় বলেন, ‘রাজ্যে তো বটেই, আমরা বিদেশ থেকেও বার্তা পাচ্ছি। কলকাতায় থাকা বাবা-মা’র জন্য ছেলে বা মেয়ে খাবার অর্ডার করে দিচ্ছেন। ৯০০৭১৯৪১০৮, ৯১৬৩১২৩৫৫৬, ৯১৬৩৩১২৮০৮, এই নম্বরগুলিতে হোয়াটসঅ্যাপ করলে পরিষেবা দেওয়া হবে।

পুজোর মরশুমে সিএডিসি (CADC) বিশেষ থালির আয়োজন করেছিল। সেই চেষ্টা সফল হয়। এরপরই কলকাতার নগরজীবনের অভ্যেসের সঙ্গে মিল রেখে সপ্তাহান্তের ভোজের আয়োজন করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশেষ রান্নায় অভ্যস্ত করা ছাড়াও পরিকল্পনায় পাক্কা পেশাদারি ভাবনা আনা হয়েছে। সেই কারণে মেনুতে ভেটকির বাটিচচ্চড়ির সঙ্গে হাঁসের মাংস, কাঁকড়া বা কাবাবের মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে। দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের ধরনও পৃথক। ফলে সপ্তাহে তিনটি দিন বাই বাই হেঁশেল বলার স্বাধীনতা এখন হাতের মুঠোয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Whatsapp, #Kopta-kebab

আরো দেখুন