বিজেপিকে উৎখাতের ডাক গুরুং- এর
আক্ষরিক অর্থেই ঐতিহাসিক। সাড়ে তিন বছর পড়ে শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানে (Gandhi Maidan)) সভা করলেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। সভাস্থলে দেড় লক্ষ লোকের জমায়েত প্রমাণ করল, স্বমহিমাতেই আছে গুরুং টাল খায়নি জনপ্রিয়তাই। এই জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করেই বিজেপিকে (BJP) ধাক্কা দিতে এবার অস্ত্র শানাচ্ছেন গুরুং। তাঁর কথা রামায়ণের যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিন প্রকাশ্যে এসে গুরুং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগেল তোলেন। তাঁর কথায়, “একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্র দুর্নীতি করছে। রাজু বিস্তাকে সাড়ে চার লাখ ভোটে জিতিয়েছি পাহাড় থেকে। অথচ আমাদের দাবি নিয়ে কোনও আলোচনা নেই।”
তবে কি গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) প্রসঙ্গে সমঝোতার অভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরছেন গুরুং? অন্তত তেমনটাই মনে করছেন গুরুং, এদিন প্রকাশ্যে বললেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায় পলিটিক্যাল সলিউশন করবেন।আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সমর্থন করে এখানে অধিকাংশ আসন জেতাব।”
পরবর্তী রাজনৈতিক পরিকল্পনাও স্পষ্ট করেছেন গুরুং এদিন। তিনি বলেন, দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক, কালিম্পং, তরাই, ডুয়ার্সে আমি সভা করব।তোমাদের এক একটা ভোট বিজেপিকে জবাব দেবে।নরেন্দ্র মোদী ও রাজু বিস্তাকে যোগ্য জবাব দিতে হবে।
আগামী সপ্তাহে সভা ঘরের মাঠ দার্জিলিংয়ে। এই সভা থেকেই জানিয়ে দিলেন গুরুং। কে বলবে মাথায় ঝুলছে ইউএপিএ-এর খাড়া! গুরুং আছেন গুরুংয়েই।