জিও বহিষ্কারের ডাক কৃষকদের, সংঘাত চরমে
কৃষক বিদ্রোহের (Farmers Protest) সুর সপ্তমে। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিজেপি কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষকরা। রিলায়েন্স, আদানি, আম্বানিদের প্রতিষ্ঠান ও সামগ্রী বয়কটের ডাক দেওয়া হল। কেন্দ্র সরকারের খসড়া প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে কৃষক ইউনিয়নগুলো। একের পর এক রাস্তা অবরোধ করা হবে, হুঁশিয়ারি কৃষকদের।
ক্ষোভ নিরসন করতে এদিন সরকারের তরফে লিখিত আশ্বাস দেওয়া হয় কৃষকদের। কেন্দ্রের খসড়া প্রস্তাবে ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য়ের আশ্বাস তুলে ধরা হয়েছে। ১৩টি কৃষক ইউনিয়নকে লিখিত আশ্বাস পাঠানো হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই তা নাকচ করে দেন কৃষকরা।
অন্য়দিকে, কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিলের দাবিতে এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্মারকলিপি পেশ করেন বিরোধীরা। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন বিরোধীরা।
উল্লেখ্য়,কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে বারংবার আলোচনার টেবিলে বসলেও জট কাটছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও নিষ্ফলা হয়। তারপরই লিখিত আকারে যেভাবে কৃষকদের আশ্বাস দেওয়া হল সরকারের তরফে এবং তা খারিজ করে দিলেন কৃষকরা, তা নয়া মোড় নিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা। বারবার সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্য়র্থ হচ্ছে। এমনকি, মঙ্গলবার অমিত শাহের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠকে রফা না মেলায়, আজ কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন কৃষকরা। কৃষকরা জানিয়েছেন, আগে তাঁরা কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাব আলোচনা করে দেখবেন তারপর বৈঠকে যাবেন।
শাহের সঙ্গে ঘণ্টা তিনেকের বৈঠকের পর সিপিএম নেতা তথা সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, “এদিনের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন, সরকার আইন বাতিল করবে না। তবে সরকার আইনে সংশোধনীর কথা লিখিত আকারে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সংশোধনী নয়, আমরা চাই আইন বাতিল। আমরা সংশোধনী মানব না।” অন্য়দিকে, মঙ্গলবার তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের ডাকে ভারত বনধে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।