উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কোচবিহার শহরে সরছে বিদ্যুতের তার ও খুঁটি

December 21, 2020 | 2 min read

নতুন বছরের শুরুতেই এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তার ও খুঁটিমুক্ত হবে কোচবিহার শহরের মূল অংশ। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। সংস্থা সূত্রে খবর, গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে কোচবিহার শহরকে গ্রিন সিটি করার লক্ষ্যে সংস্থার তরফে মাটির তলা দিয়ে তার নিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। তার প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। এতে কোচবিহার (Coochbehar) শহরের বেশিরভাগ হেরিটেজ লোকেশন কভার হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে মাটির ওপরে বিদ্যুতের যে সমস্ত পুরোনো খুঁটি ও তার রয়েছে সেগুলি তারা খোলার কাজ শুরু করেছে।

সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খোলার কাজ চলতি বছরের মধ্যে অথবা নতুন বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই শেষ হয়ে যাবে। এতে কোচবিহারবাসীকে তারা সুষ্ঠু ও বিঘ্নহীন বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে পারবে। পাশাপাশি, এর ফলে কোচবিহার শহরও অনেক পরিষ্কার ও সবুজ হয়ে উঠবে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কোচবিহারের ডিভিশনাল ম্যানেজার মহম্মদ আনসার আলম বলেন, কোচবিহার শহরে যে ভূতল বিদ্যুদয়নের কাজ শুরু হয়েছিল বর্তমানে তার প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে মাটির ওপরে বিদ্যুতের যে সমস্ত পুরোনো খুঁটি ও তার রয়েছে সেগুলি আমরা খোলার কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, এই মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। নতুন বছরের শুরুতেই কোচবিহার শহরের মূল অংশে সুষ্ঠু ও বিঘ্নহীনভাবে আমরা বিদ্যুত্ পরিষেবা দিতে পারব। খুব শীঘ্রই আমাদের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে। তখন শহরের বাকি অংশে কাজ হবে।

বছর তিনেক আগে কোচবিহারের চকচকায় এসে সভা করে কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ শহর হিসাবে ঘোষণা করার সুপারিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ শহর ঘোষণা করার তোড়জোড় শুরু হয়। খড়্গপুর আইআইটি থেকে বিশেষজ্ঞরাও বেশ কয়েকবার কোচবিহারে এসে সমস্ত কিছু পরিদর্শন করেন। কিন্তু কোচবিহার শহরের চারদিকে এলোমেলোভাবে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তার ও খুঁটি নিয়ে তাঁরা আপত্তি জানান। এরপরই কোচবিহারকে গ্রিন সিটি করে তোলার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার এখানে মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের তার টানার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। গত প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই কাজ চলছিল। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপের কাজ কোচবিহার শহরের দুর্গাবাড়ি থেকে পশ্চিমে গুঞ্জবাড়ি পর্যন্ত। অপরদিকে, পঞ্চরঙ্গি মোড় থেকে রানিবাগান পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় মাটির তলায় তার পাতার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে খবর, ঝড়-বৃষ্টিতে আগে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে তাদের সমস্যায় পড়তে হত। কাজ শেষ হওয়ায় এখন আর তেমন সমস্যা তাদের হবে না। এখন থেকে তারা সুষ্ঠু ও বিঘ্নহীনভাবে পরিষেবা দিতে পারবে। কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, এটা খুবই আনন্দের খবর। এর ফলে কোচবিহারবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর হবে। পাশাপাশি, কোচবিহার শহরের সৌন্দর্য যেভাবে তারের জঞ্জালে নষ্ট হতে বসেছিল সেটাও দূর হবে। কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ শহর ঘোষণার কাজ ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coochbehar, #electricity

আরো দেখুন