আবার টেলিফোনে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা মমতার
যখন প্রথম সিঙ্ঘুতে প্রতিবাদ শুরু হয়, কেন্দ্রীয় সরকার কনকনে ঠান্ডার মধ্যে আন্দোলনরত কৃষকদের জলকামান মেরে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকে ভেঙে দিতে চায়। সেদিনও কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল পৌঁছে গেছিল কৃষকদের পাশে। সেদিনও টেলিফোনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত কৃষকদের (Farmers Protest) সঙ্গে কথা বলেন। সহমর্মিতার বার্তা দেন।
আজ কৃষক দিবসে (Farmers Day) আবার পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল তিনি পাঠিয়েছেন সিঙ্ঘু সীমান্তে। এই দলে আছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, শতাব্দী রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মন্ডল ও নাদিমুল হক।
যেসব কৃষকরা এই সিঙ্ঘু সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে অনশন করছেন তাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দল। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কৃষকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি এই আন্দোলনকে স্বাগত জানান ও পাশে থাকার বার্তা দেন। কিছু কৃষক তাঁকে এই ধর্নার জায়গায় আসতে অনুরোধ করেন। কৃষকদের দাবি একটাই, কেন্দ্র এই কৃষি বিল (Farm Bills) প্রত্যাহার করুক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা, যে কৃষকরা সারা দেশের মুখে অন্ন যোগান তারা নিজেরা আজ অনশন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ১৪ বছর আগে সিঙ্গুরে তৎকালীন সরকার যেভাবে গায়ের জোরে কৃষকদের জমি দখল করেছিল, তার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ দিনের অনশন করেছিলেন। তাঁর সেদিনের লড়াই মান্যতা পায় সিঙ্গুর মামলা নিয়ে ২০১৬ সালের ৩১শে আগস্ট দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। তৃণমূল এই কৃষক বিরোধী কৃষি আইনের (Farm Laws) বিরুদ্ধে কৃষকদের লড়াইতে তৃণমূল পাশে আছে।