দেশ বিভাগে ফিরে যান

ঠান্ডা, বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনড় কৃষকরা

January 4, 2021 | 2 min read

সরকারকে চাপে ফেলে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ কেন্দ্র বিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। এদিকে, সামনেই সাধারণতন্ত্র দিবস। তাই দেশবিদেশের অতিথিদের সামনে অস্বস্তি এড়াতে দ্রুত কৃষক সমস্যা মেটাতে মরিয়া মোদি সরকার (Modi Government)। সেই মতো আজ সোমবারই সপ্তম দফার বৈঠকে সমস্যা মিটিয়ে নিতে চায় কেন্দ্র। যদিও তিন কৃষি আইন ইস্যুতে উভয়পক্ষের অনড় অবস্থানে তা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সমস্যা না মেটার জন্য মোদি সরকারকে ‘নির্লজ্জ’ এবং ‘ক্ষমতার অহঙ্কারী’ বলে ররিবার তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Soniya Gandhi)। সরব হয়েছেন রাহুলও।

সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ‘দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় গত ৩৯ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সরকারের একগুঁয়ে অবস্থানের জন্য ইতিমধ্যেই ৫০ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু তাতেও নির্লজ্জ মোদি সরকারের হৃদয় কাঁপেনি।’ স্বাধীনতার পর থেকে এমন অহঙ্কারী সরকার আর আসেনি। কংগ্রেস সভানেত্রীর মন্তব্য, ‘এখনও সময় আছে, ক্ষমতার অহঙ্কার ছেড়ে মোদি সরকার তিন কৃষি আইনই বাতিল করুক। আন্দোলন সমাপ্ত হোক।’ আন্দোলনকারীদের সত্যাগ্রহী আখ্যা দিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘কৃষকরা তাঁদের অধিকার আদায় করেই ছাড়বেন।’

এদিকে, রবিবার তুমুল বৃষ্টিতে সিংঘু সীমানায় ভেসে গেল কৃষকদের অস্থায়ী তাঁবু। ভিজে চুপসে গেল কম্বল, বালিস। জল থইথই দিল্লি সীমানার বিক্ষোভস্থলগুলিতে তবুও অবস্থানে অনড় রইলেন কৃষকরা। বুরারি গ্রাউন্ডেও জল ভর্তি মাঠে সঙ্গী থকথকে কাদা। গায়েই শুকচ্ছে জামাকাপড়। তাও হাল ছাড়তে নারাজ কৃষকরা। তাঁদের সাফ কথা, ‘বৃষ্টিতে ভিজেই চাষ করি। ফসল ফলাই। যত বেশি বৃষ্টি হবে, তত আমাদের ফসল ভালো ফলবে। কাজেই আবহাওয়া যত খারাপই হোক, আমরা পিছু হটছি না।’ দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু, দিল্লি-রোহতক করিডরের তিক্রি, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর, দিল্লি-নয়ডার চিল্লা সীমানার পাশাপাশি আন্দোলনে উত্তপ্ত রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানার শাহজাহানপুরও। নাগপুর থেকে আরও কৃষক মিছিল সীমানার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ৮ নং জাতীয় সড়কে এদিন পুলিসের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতেও জড়িয়েছেন কৃষকরা।

দিল্লির প্রবল ঠান্ডায় এমনিতেই খোলা আকাশের নীচে প্রতিদিনই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার তার সঙ্গেই যোগ হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। যা ঠান্ডার প্রকোপ একধাক্কায় বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এমন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অর্থাৎ, বিক্ষোভরত চাষিদের (Farmers Protest) সামনে চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হচ্ছে। তবে তাঁরা যে এটিকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না, তা বোঝাতে এদিন চিল্লায় অভিনব প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। খালি গায়ে তারা মিছিল করেছেন। কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘চাষিরা কোনও পরিস্থিতিতেই ভেঙে পড়ে না। তাই সোমবারের বৈঠকে কৃষকদের দাবি মেনে নিক কেন্দ্র।’ সারা ভারত কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির কটাক্ষ, ‘তিনটি আইন বাতিলের প্রক্রিয়া জটিল নয়। শুধুমাত্র নিজেদের মুখ পুড়বে বলে সরকার বিলম্ব করছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Modi Government, #Farmers Movement

আরো দেখুন