রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

এবার বাড়িতেই ভেজে খান ফিশ ফ্রাই, ফিশ ফিঙ্গার

January 4, 2021 | 2 min read

মাংসের হরেক আইটেম তো ছিলই। এবার বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে নতুন বছরে প্যাকেটজাত ফিশ ফ্রাই আর ফিশ ফিঙ্গার (Fish Finger) আনছে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। ‘হরিণঘাটা’ ব্র্যান্ডে বাজারে মিলবে এই দুই লোভনীয় পদ। ইতিমধ্যেই সেগুলি ডিলারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর। দামও রাখা হচ্ছে সাধারণের সাধ্যের মধ্যেই।

প্রক্রিয়াজাত কাঁচা মাংস বিক্রিতে বেশ নামডাক হয়েছে হরিণঘাটার (Haringhata)। সফল তাদের ‘রেডি টু কুক’ খাবারের ব্যবসাও। তার কারণ অবশ্য একটাই। ব্যস্ত সময়ে রান্নার ঝামেলা নেই। প্যাকেট খুলে ওইসব খাবার ভেজে বা সেদ্ধ করেই পরিবেশন করা যায়। তালিকায় রয়েছে নাগেট, সালামি, সসেজ বা কাটলেটের মতো নানা আইটেম। এখানেই থেমে থাকেনি হরিণঘাটা। মুরগি বা খাসির মাংসের পাশাপাশি রয়েছে ডাক, পর্ক, র‌্যাবিট, বনরাজা, কোয়েল বা টার্কির মাংসও।

প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধীনে কাজ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। তাদের উদ্যোগেই বাজারে এল প্যাকেট করা ফিশ ফ্রাই এবং ফিশ ফিঙ্গার। দু’টি ফিশ ফ্রাইয়ের প্যাকেটের দাম পড়বে ১০০ টাকা। একই দামে মিলবে পাঁচটি ফিঙ্গারও। কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, ‘আমরা ১ জানুয়ারি থেকে ডিলারদের কাছে এগুলি পাঠাতে শুরু করেছি। বাজারে মিলবে দু’এক দিনের মধ্যেই। আপাতত কলকাতা ও শহরতলির ৩৫০টি হরিণঘাটা শপে মিলবে ফিশ ফিঙ্গার এবং ফিশ ফ্রাই। পরবর্তী পর্যায়ে পাওয়া যাবে রাজ্যের মোট ৪২৫টি দোকানেই।’ শুধু তাই নয়, কিছুদিনের মধ্যে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ফিশ কাটলেটও আনছে হরিণঘাটা। গৌরীশঙ্করবাবু বলেছেন, ‘এই রেসিপিটি নিয়ে আমাদের গবেষণা চলছে। সেই কাজ শেষ হলে বাজারে ছাড়ব কাটলেট।’ ফিশ ফিঙ্গার, ফিশ ফ্রাই নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছে কর্পোরেশন। তার পরেই বাজারজাত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গৌরীশঙ্করবাবুর কথায়, ‘গুণমানের দিক দিয়ে আমাদের দু’টি রেসিপিই সেরা। টানা প্রায় একমাস রেখে খাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে গঠন ও স্বাদের কোনও পরিবর্তন হবে না।’

ফিশ ফ্রাই ও ফিঙ্গার তৈরির জন্য মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে টাটকা মাছ কিনছে কর্পোরেশন। নিজেদের তত্ত্বাবধানে তা প্রসেস করা হচ্ছে। আধিকারিকরা অবশ্য বলছেন, ফ্রাই এবং ফিঙ্গারের স্বাদের আসল রহস্য লুকিয়ে এক ধরনের বিশেষ মশলায়। যা প্যাকেটে দেওয়া হচ্ছে। খাবারগুলির স্বাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হয়েছে ওই মশলা।

এখন পাড়ায় পাড়ায় ফাস্ট ফুডের দোকান। তাহলে কেন সাধারণ মানুষ সরকারি মাছভাজা কিনবেন? দপ্তরের কর্তারা বলছেন— প্রথমত, পেটের রোগের আঁতুড়ঘর দোকানের পোড়া তেল। আমাদের ফিশ ফিঙ্গার, ফিশ ফ্রাই ক্রেতারা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তেলে ভেজে খেতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, দোকানের খাবার একটু ঠান্ডা হয়ে গেলেই স্বাদ থাকে না। হরিণঘাটার রেসিপির স্বাদ থাকবে অটুট। তৃতীয়ত, বাড়িতে এমন রেডি টু কুক খাবার মজুত থাকলে যে কোনও সময় তা খাওয়া যায়। তার জন্য দোকানে ছুটতে হয় না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#haringhata, #fish fingers

আরো দেখুন