‘প্রস্তুত থাকুন, যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ বাঁধতে পারে’, লালফৌজকে নির্দেশ জিনপিং- এর
‘যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। প্রস্তুত থাকুন।’ নতুন বছরে লালফৌজকে (PLA) এমনই নির্দেশ দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। সেনাকর্তাদের ‘কমব্যাট’ ট্রেনিংয়ের উপর জোর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশ ঘিরে ফের ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনার পারদ চড়ছে।
হংকংয়ের এক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জিনপিং দেশের বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছেন যাতে সেনাবাহিনী নিত্যনতুন অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণের আদব কায়দাও বদলের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে বিভিন্ন বাহিনীকে একসঙ্গে ট্রেনিং করতে হবে বলে জানিয়েছেন জিনপিং।
উল্লেখ্য, জিনপিং শুধু সে দেশের প্রেসিডেন্ট বা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নন, ২০১২ সাল থেকে লালফৌজের কম্যান্ডার-ইন-চিফও বটে। সেই সময় থেকেই সেনাবাহিনীর যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির উপর জোর দিয়েছেন জিনপিং। উপরন্তু ২০২০ সালের মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। গালওয়ানে দু’দেশের জওয়ানদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। দু’দেশেরই সেনা জওয়ানরা নিহত হন। তার পর একাধিকবার ভারতের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চীনের বাহিনীর বিরুদ্ধে। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা প্রতিহত হয়েছে। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনার কাছে কার্যত ল্যাজেগোবরে হয়েছে লালফৌজ। এবার কি তারই বদলা নেওয়ার ছক কষছে চীনা বাহিনী? তাই এত সাজো সাজো রব? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, নতুন বছরের গোড়াতেই চীনের সেনা আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেনার হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে চীনের অভ্যন্তরে ও বাইরে লালফৌজ চূড়ান্ত ক্ষমতা পেয়েছে। ২০২০-এর ২৬ ডিসেম্বর নয়া আইনকে ছাড়পত্র দেয় চীনের আইনসভা ন্যাশনাল কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি। এরপরই লালফৌজকে নির্দেশ পাওয়া মাত্র যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিলেন জিনপিং। তাঁর এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।