ট্যাবের টাকা পেতেই ডিজে সহযোগে উদ্দাম নাচ, পড়ুয়াদের মুখে ‘মমতা দি আরেকবার’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন আগেই। সম্প্রতি, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই আনন্দে মাতল ছাত্ররা। রীতিমতো ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দিল ছাত্রদের একাংশ। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের রামগঞ্জের। স্থানীয়দের দাবি, রামগঞ্জ হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা টাকা পাওয়ার আনন্দে ডিজে বাজিয়ে আনন্দে মেতেছিলেন।
এই ঘটনার পর রবিবার উত্তর দিনাজপুরের ডিআই (মাধ্য়মিক) নিতাইচন্দ্র দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই সময় ডিজিটালকে তিনি বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি।‘ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজ্য়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পড়ুয়াদের ট্য়াব কেনার রসিদ স্কুলে জমা করতে হবে। স্কুলগুলি তা এসআইদের মাধ্য়মে আমাদের কাছে জমা করবে।‘
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে স্মার্টফোন বা ট্যাবের (Tab) মাধ্যমেই চলছে পড়াশোনা। কিছু সরকারি স্কুলেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বহু ছাত্রছাত্রীর পরিবার আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকায় এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন এতদিন। শিক্ষক মহলের একটা অংশ মনে করছেন, বহু ছাত্রছাত্রী সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে চলেছেন। আর এর মধ্য়েই এই মজার কাণ্ড। ডিজেতেও ছিল চমক। চড়া মিউজিকের সঙ্গে বেজেছে ‘মমতা দি আরেকবার’। ওই ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘মমতা দি ট্য়াব কেনার জন্য় টাকা দিয়েছে, সে জন্য় এরা ডিজে বার করেছে।’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের সুবিধার্থে ট্যাব দেওয়া হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা পাঠিয়ে দেবে সরকার। সেই টাকা ইতিমধ্য়েই পৌঁছতে শুরু করেছে। তবে শিক্ষা দফতরের ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে মাদ্রাসাগুলির নাম অন্তর্ভুক্ত না থাকায় মাদ্রাসার উচ্চমাধ্যমিক ও ফাজ়িল পরীক্ষার্থী দোটানায় পড়েছিলেন। পরে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার সরকারি অনুদান মেলা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটে। এদিকে নেট দুনিয়ায় এই ভিডিও সারা ফেলে দিয়েছে। কোনও কোনও মহলে এই টাকা ঠিকভাবে ব্য়বহার করা হবে না এই আশঙ্কাও করা হচ্ছে।যদিও এরকম হলে কী ব্য়বস্থা নেওয়া হবে, তা এখনও অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়।