রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

চোখের আলো – ৯০ পুরসভায় প্রায় ১৪০০ বিশেষ শিবির

January 25, 2021 | 2 min read

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত ‘চোখের আলো’(Chokher Also) প্রকল্পে রাজ্যের ৯০টি পুরসভায় জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ চক্ষুপরীক্ষা শিবির করার নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্যদপ্তর(Health Dept)। প্রতিটি পুরসভায় কতগুলি করে শিবির প্রাথমিকভাবে করতে হবে, তার তালিকা সহ ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। প্রতিমাসে প্রতিটি পুরস্বাস্থ্য কেন্দ্র অনুসারে অন্তত একটি শিবির করতে হবে। আগামী তিনমাসের মধ্যে শুধু পুরসভা স্তরেই প্রায় ১৪০০ ক্যাম্প করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত বস্তি সহ প্রয়োজনীয় এলাকাকে গুরুত্ব দিয়ে ওই ক্যাম্প করতে হবে। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই ওই ক্যাম্প আয়োজন করার জন্য অর্থবরাদ্দ হয়েছে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একজন করে এমবিবিএস চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে ওই ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছে। শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের এনে ওই ক্যাম্প করার বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে শহরের বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসকের কাছে চোখ দেখানোর ইচ্ছা থাকে বাসিন্দাদের। তাকে গুরুত্ব দিয়েই ওই বিশেষ ক্যাম্পগুলিতে(Special Camps) বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসকদের যুক্ত করতে বলা হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ জানুয়ারি ওই ব্যাপারে চূড়ান্ত পরিকল্পনা সহ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ওই ক্যাম্পগুলি পরিচালনা ও পরিদর্শনের জন্য জেলা থেকে পুরসভা পর্যন্ত বিশেষ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। চক্ষু পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই উপভোক্তাদের পছন্দসই চশমার ফ্রেম দেওয়ার ব্যবস্থাও ক্যাম্পে থাকবে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ অনুসারে, প্রতিটি ক্যাম্প বড় জায়গা নিয়ে করা হবে। সেখানে ন্যূনতম একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ, একজন এমবিবিএস চিকিৎসক, দু’জন অপটোমেট্রি টেকনিশিয়ান, নার্স, আশাকর্মী সহ সহযোগী কর্মীরা থাকবেন। ক্যাম্পগুলি থেকে চোখের সাধারণ সমস্যা থাকলে বিনামূল্যে চশমা দিয়ে দেওয়া হবে। কোনও ক্ষেত্রে সমস্যা হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা উপভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া হবে। ওই কাজের জন্য চশমার ফ্রেমও ক্যাম্পে রাখা হবে। যদিও কারও ছানি সহ অন্যান্য জটিল সমস্যা থাকে, তবে তাঁকে নির্দিষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোর কাজও ক্যাম্পের মাধ্যমেই করা হবে। ক্যাম্পগুলির পরিচালনা এবং তা নিয়ে প্রচারের জন্য জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের একটি দল গড়ে দিয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কাজের খতিয়ানও ক্যাম্প শেষ হওয়ার পরপরই পুরসভাগুলিকে স্বাস্থ্যদপ্তরে জানাতে হবে। স্বাস্থ্য প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে, জানুয়ারি মাস থেকেই ওই ক্যাম্প শুরু করে দিতে হবে। রাজ্যের পুরনিগমগুলিকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ক্যাম্প আয়োজন করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকা অনুসারে কলকাতা পুরনিগমে ৪৩২টি ক্যাম্প হবে। একইভাবে হাওড়াতে ৮১, শিলিগুড়িতে ৩০, বিধাননগরে ৩৬, আসানসোলে ৬৯ ও দুর্গাপুরে ৩৩টি ক্যাম্প করতে বলা হয়েছে। পুরসভাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাম্প করতে বলা হয়েছে মহেশতলা, সোনারপুর, ভাটপাড়া, চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, উলুবেড়িয়া, ইংলিশবাজার, বহরমপুর, বরানগর, বারাসত, মধ্যমগ্রাম, দক্ষিণ দমদম, খড়্গপুর, বর্ধমান ও নৈহাটিকে। ওই পুরসভাগুলিতে ১২ থেকে ৩৬টি করে শিবির করা হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#municipality, #chokher Alo, #Camps, #Mamata Banerjee

আরো দেখুন