সিপিএম নেতার অপারেশন দরকার, দ্রুত করে দেওয়া হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
সপ্তাহ দু’য়েক আগে বাড়ি ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় জখম হন গোঘাটের সিপিএম নেতা অসিত সিংহ রায়। দুর্ঘটনায় তাঁর বাঁ হাত ভেঙে যায়। একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে অপারেশন করানোর জন্য যোগাযোগ করে ওই নেতার পরিবার। কিন্তু আর্থিক কারণে তা হয়ে ওঠেনি। বাধ্য হয়ে ওই সিপিএম (CPM) নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে গোঘাট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন যায়। তারপরই শাসকদলের ছাত্রনেতারা দ্রুত ওই পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড (Swasthya Sathi Card) পাইয়ে দিতে উদ্যোগী হন। অবশেষে সিপিএম নেতার পরিবার গত শুক্রবার কার্ড হাতে পেয়েছে। আজ, সোমবার তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। মমতার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়ে খুশি ওই পরিবার।
অসিতবাবুর বউমা প্রীতিলতা দেবী বলেন, রাজ্যের অন্যান্য মানুষের পাশাপাশি আমরাও এই কার্ড পেয়েছি। এতে অনেকটাই উপকৃত হব। সিপিএম নেতার পরিবার তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের সাহায্য নিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতেই এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সিপিএমের অসিত সিংহ রায় গোঘাট-১ সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য। তাঁর বাড়ি গোঘাট-১ ব্লকের বালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর ছেলে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী। স্ত্রী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। এনিয়ে সিপিএম হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর রায় বলেন, দুর্ঘটনার পর তিনি দ্রুত কার্ড পেয়েছেন। এতে তাঁর চিকিৎসার জন্য অনেকটাই সুবিধা হবে। কার্ড না পেলে হয়তো তাঁকে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে জমি বিক্রি করতে হতো।
গোঘাট-১ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৈয়দ আসিক হোসেন বলেন, ওই সিপিএম নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে ফোন পেয়ে আমরা তৎপরতার সঙ্গে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করি। অবশেষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই পরিবারের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সবসময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করার বার্তা দেন। আমরা সেই কাজই করছি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, হুগলি জেলার সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকা দীর্ঘদিন সিপিএমের আঁতুড়ঘর বলেই পরিচিত ছিল। এরপর রাজ্যের পালাবদলের সময় গোঘাটে প্রথম জোড়া ফুল ফোটে। গত বিধানসভা নির্বাচন এই কেন্দ্রটি শাসক দলের দখলে থাকে। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) এখানে ভালো ফল করেছিল। যে কারণে একদিকে জনসংযোগ বৃদ্ধি, অন্যদিকে সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পকে হাতিয়ার করে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের (West bengal Assembly Eection 2021) বৈতরণী পার হতে চাইছে শাসক দল।