দেশ বিভাগে ফিরে যান

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজ দিল্লির সীমানায় ‘চাক্কা জ্যাম’

February 6, 2021 | 2 min read

‘বিতর্কিত’ তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজ, শনিবার ‘চাক্কা জ্যাম’ (Chakka Jaam) কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত সমস্ত জাতীয় এবং রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অর্থাৎ, আজ তিন ঘণ্টার দেশজোড়া কর্মসূচিকে কার্যত ধর্মঘটের রূপ দিতে মরিয়া কৃষক সংগঠনগুলি। তবে দিল্লির মধ্যে ‘চাক্কা জ্যাম’ হবে না বলেই জানিয়েছে কিষান মোর্চা। আন্দোলনরত কৃষকদের তিন ঘণ্টার ওই কর্মসূচি সামাল দিতেই আপাতত শশব্যস্ত পুলিস আধিকারিকরা। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে দিল্লি-নয়ডার চিল্লা সীমানায় প্রশাসন পেরেক এবং গজাল পুঁতে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। দিল্লি-নয়ডা সীমানায় ব্যারিকেডের বেড়াও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

শুক্রবারই সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি জানিয়ে দিয়েছে, আজ, শনিবার কৃষকদের ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচিতে তারাও শামিল হবে। ফলে আরও বেশি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বিক্ষোভরত কৃষকরা এদিন দাবি করেছেন, ‘পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নিজে সীমানায় আসুন। সরাসরি চাষিদের সঙ্গে কথা বলুন। তাহলেই প্রকৃত অবস্থা তিনি বুঝতে পারবেন।’

কেন্দ্রের উদ্বেগ এদিন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (Bharatiya Kisan Union) একটি বিবৃতি। সংগঠনের নেতা রাকেশ টিকায়েত চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমরা উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছি না। কারণ শেষ মুহূর্তে দিল্লি সীমানায় অনেক বেশি যোগদানের প্রয়োজন হতে পারে। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের চাষিদের স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইঙ্গিত স্পষ্ট। যদি পুলিসি বাধা আসে, পাল্টা প্রতিরোধ তৈরি করতে পারেন কৃষকরা। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই এদিন দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এদিন দিল্লি পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেছেন দিল্লির পুলিস (Delhi Police) কমিশনার। আজকের কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত এসপি এবং কমিশনারের উদ্দেশে জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছে হরিয়ানা প্রশাসনও। যেভাবে শুক্রবার পুলিসের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও হাজার হাজার কৃষক পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের শামলিতে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করেছে, তাতে আরও চাপে পড়ে গিয়েছে সরকার। সরকারকে বার্তা দিতে গাজিপুরের যেখানে পেরেক পুঁতেছে পুলিস, সেখানে প্রতীকী চাষও করেছেন কৃষকরা। যদিও কৃষকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আজ, ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে তাঁদের কোনও চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিই নেই। কারণ দিল্লির সীমানা এমনিতেই গত আড়াই মাস ধরে অবরুদ্ধ।’ বরং আন্দোলন থামাতে সংগঠনের নেতৃত্বের নামে ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কিষান ইউনিয়ন। অন্যদিকে, এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবারের ‘চাক্কা জ্যাম’এ জরুরি এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কোনও গাড়িকে আটকানো হবে না। বিকেল ৩টের সময় যখন চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি শেষ হবে, সেইসময় এক মিনিট ধরে হর্ন বাজিয়ে কৃষক ঐক্যের প্রমাণ দেওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Delhi Police, #Farmers Movement, #Chakka Jaam

আরো দেখুন