দেশ বিভাগে ফিরে যান

‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলায় সুপ্রিম স্বস্তিতে শশী থারুর-সহ ৬ সাংবাদিকের

February 9, 2021 | 2 min read

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে স্বস্তিতে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর-সহ ৬ সাংবাদিক। কৃষক মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে আপাতত তাঁদের গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। দু’সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে।

সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর ব়্যালিতে কৃষকের মৃত্যু নিয়ে টুইট করেছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)-সহ ৬ সাংবাদিক। তাঁরা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরই তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই সাতজন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।

দিল্লি পুলিশের তরফে আইনজীবী ছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। এদিকে শশী থারুরদের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল। কংগ্রেস নেতা-সহ বাকিদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন তুষার মেহতা। তাঁদের সাময়িক রেহাই দেওয়ারও বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। উলটোদিকে বিরোধিতা করে সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের কাছে পরবর্তী শুনানির জন্য সময় চান। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি ভি সুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ জানান, “আমরা নোটিস ইস্যু করছি। আপাতত তাঁদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। পরবর্তী শুনানি ২ সপ্তাহ পর।”

প্রসঙ্গত, সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের মিছিলে হিংসার (Farmers protest) ঘটনায় নাম জড়ায় কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের। তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহে’র অভিযোগ ওঠে! নয়ডা পুলিশ শশী-সহ ৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যু সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন। বাকি ছ’জন অভিযুক্ত সাংবাদিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজদীপ সরদেশাইয়ের (Rajdeep Sardesai) মতো প্রথম সারির সাংবাদিকও। তাঁদের বিরুদ্ধে দিল্লি হিংসা নিয়ে মিথ্যে খবর ছড়ানো ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই মামলা থেকে বাঁচতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#shashi tharoor, #supreme court

আরো দেখুন