কঠিন রোগ থাকলে ৫০ বছরের কম বয়সিরাও পাবেন করোনা টিকা
লিম্ফোমা, লিউকোমিয়া, মায়লোমার মতো ক্যান্সার, কিডনি, হৃদরোগ ও হাইপারটেনশনের সমস্যা থাকলে ৫০ বছরের কম বয়সেও করোনার ভ্যাকসিন(Corona Vaccine) মিলবে। কেবল উল্লিখিত রোগই নয়, আরও একগুচ্ছ কো-মর্বিড(CoMorbid) নাগরিকদের তালিকা তৈরিতেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কো-মর্বিডদের তালিকা প্রস্তুত করছে। শীঘ্রই তা প্রকাশও হবে।
পঞ্চাশোর্ধ্ব দেশের সব নাগরিককে (আনুমানিক ২৬ কোটি) টিকা দেওয়ার পর্ব চালু হওয়ার পরেই কম বয়সের কো-মর্বিডদেরও টিকা দেওয়ার কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই ধরনের নাগরিকদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি বলেই ধরে রেখেছে কেন্দ্র। ডাক্তারের সার্টিফিকেট সহ ‘কো-উইন’ ডিজিটাল অ্যাপের(CoWin Digital App) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। শীঘ্রই সাধারণের জন্য এই অ্যাপ কার্যকর হবে।
পঞ্চাশের কম বয়সের কো-মর্বিডদের টিকা বিনা পয়সায় মিলতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এখনও এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মার্চ মাসেই এই শ্রেণির টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধাদের টিকাকরণ পর্বটি দ্রুত শেষ করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যাবতীয় স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেই শুক্রবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন(Dr Harshvardhan)।
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৩ লক্ষ প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধা প্রথম ডোজ পেয়েছেন। অথচ আগামী ৬ মার্চের মধ্যেই এই শ্রেণির প্রায় দু’কোটি নাগরিককে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করার টার্গেট নিয়েছে মোদি সরকার। আদৌ তা কতটা সম্ভব, উঠছে সওয়াল। তাই বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় রাজ্যগুলিকে টিকাকরণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধাদের আমি করজোড়ে বলছি, শঙ্কা ছেড়ে টিকা নিন। ভারতে তৈরি দুটি টিকাই (কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড) নিরাপদ। করোনার টিকার কারণে এখনও পর্যন্ত দেশে একজনেরও মৃত্যু হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে ভারত ১ কোটি ডোজ সম্পন্ন করেছে, যা একপ্রকার রেকর্ড। দ্রুত টিকাকরণের ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে এই ব্যাপারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে ৩১ দিনে। ভারত ৩৪ দিনে।